ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে শীতকালীন সবজি চাষে ধুম

ঈশ্বরদীতে শীতকালীন সবজি চাষে ধুম

প্রকৃতিতে চলছে হেমন্ত। ভোরে দেখা মিলছে কুয়াশার। হেমন্তের পরেই শীতকাল। তাই শীতের নানা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঈশ্বরদীর কৃষকরা। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মাঠে মাঠে এখন সবজি চাষের ধুম। অনেকেই শীতকালীন সবজির আগাম চাষ করেছেন।

মাঠজুড়ে এখন গাজর, মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি ও টমেটোর চাষ চলছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। এর মধ্যে কিছু জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে। উপজেলার ভাড়ইমারী, নওদাপাড়া, মুনসিদপুর, মুলাডুলি মধ্যপাড়া, বাঘহাছলা, সাহাপুর, মিরকামারীসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। সকাল-সন্ধ্যা সবজি ক্ষেত পরিচর্যা করছেন।

কেউ কেউ চারা ও বীজ বপনে ব্যস্ত। মুলাডুলি ইউনিয়নের গ্রামগুলোয় শিমের চাষাবাদ বেশি আবাদ হয়। সলিমপুরের ভাড়ইমারী, নওদাপাড়া, মিরকামারী ও সাহাপুর গ্রামে গাজরের চাষ বেশি দেখা যায়। এছাড়া লক্ষ্মীকুন্ডা পদ্মার চরাঞ্চলে মুলা, ফুলকপি, টমেটো ও ধনিয়া চাষ বেশি। ভাড়ইমারী গ্রামের সবজি চাষি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি চাষ করেছেন। আশ্বিনের শেষে অথবা কার্তিকের শুরুতে কপির চারা রোপণ করলে ২ মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে। সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছেন। সলিমপুর ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে। এখানে গাজর, মুলা, ফুলকপি, ওলকপি ও শিম চাষ বেশি হয়। এছাড়া টমেটো, ধনিয়া, লালশাক, পালং শাকের ফলনও ভালো হয়। কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, ‘এখানে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়। শিম, ফুলকপি, গাজর ও মুলাসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয়। ১৬ অক্টোবর রবি মৌসুম শুরু হচ্ছে। এখানকার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত