নওগাঁর বদলগাছীতে সবজির চারার নার্সারি করে সফলতা পেয়েছেন নার্সারি মালিকরা। নিজেদের চাহিদা পূরণের পর বিভিন্ন সবজির চারা এখন তারা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববতী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা এবং বগুড়ার কয়েকটি উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি বছর এ উপজেলা থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার সবজির চারা বিক্রি হয়। নার্সারি মালিকদের পৃষ্ঠপোষকতাসহ উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ করা গেলে অর্থনীতিতে আরো সমৃদ্ধ হবে এ উপজেলা। সবজি এলাকা হিসেবে পরিচিত জেলার বদলগাছী উপজেলা। এ উপজেলার কোলা ইউনিয়নের একটি গ্রাম হুদ্রাকুড়ি। প্রায় ৪০ বছর আগে এ গ্রামের মরহুম তছির উদ্দিন মণ্ডলের হাত ধরে সবজির চারার নার্সারি শুরু হয়। তিনি সে সময় পেঁয়াজের চারা (আল) বিক্রি করতেন। লাভজনক হওয়ায় এরপর পর্যায়ক্রমে এ গ্রামের আরো ১০ জন সবজির নার্সারি শুরু করে। এ গ্রামের নয় বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জাতের সবজির চারা উৎপাদন করে বিক্রি করা হচ্ছে। নিজেদের চাহিদা পূরণের পর এসব চারা এখন পাশের জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। চাষিরা নিজেরা চারা উৎপাদন না করে এসব নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করছে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও চারা উৎপাদনের বিশেষ অবদান রাখছে। নার্সারি মালিকরা জানান- সবজির চারার চাহিদা থাকায় কেউ নার্সারি থেকে বিক্রি করেন আবার কেউ বাড়তি লাভের জন্য হাটে-বাজারে গিয়েও বিক্রি করেন। ১০০ চারা পাইকারিতে বিক্রি হয় পটল ৪০০-৪৫০ টাকা, মরিচ ২০০-২৫০ টাকা, ফুলকপি/বাঁধাকপি ১৫০-১৮০ টাকা, টমেটো ১০০-১৩০ টাকা এবং বেগুন ৬০-৭০ টাকা। বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়।