ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শ্যামনগরে অচাষকৃত উদ্ভিদের পাড়া মেলা

শ্যামনগরে অচাষকৃত উদ্ভিদের পাড়া মেলা

শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকার অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পাড়া মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্ক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঝাপালি, কাশিমাড়ী ও খেজুরিয়া গ্রামের গ্রামীণ নারী শিক্ষার্থীরা ৭৫ ধরনের অচাষকৃত উদ্ভিদ সংগ্রহ পূর্বক প্রদর্শন করেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত পাড়া মেলায় প্রদার্শিত উদ্ভিদের ওষুধি ও খাদ্য গুণাগুণ, প্রাপ্তিগুণ, প্রাপ্তিস্থান ও কাল এবং ব্যবহার তুলে ধরেন। মেলায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, কুড়িয়ে পাওয়া অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য গ্রামীণ মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির আঁধার একই সঙ্গে ওষুধি গুণাগুণের কারণে এগুলোর গুরুত্ব অনেক। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে অচাষকৃত উদ্ভিদ ও প্রাণবৈচিত্র্যের বিলুপ্তি ঘটছে। কৃষিজমি কমে লবণ পানির চিংড়ি ঘেরর সংখ্যা বৃদ্ধি ও রাসায়নিক সার কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ছে। যা অচাষকৃত উদ্ভিদ ও প্রাণ বৈচিত্র্যের বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। তাই এসকল উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের গুণাবলি নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। মেলায় এককভাবে ৬১ প্রকার উদ্ভিদ বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে ১ম হন কৃষানি জামিলা বেগম, ৪৬ প্রকার উদ্ভিদ বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে দ্বিতীয় হন কৃষানি নাছিমা বেগম এবং ৩৬ প্রকার উদ্ভিদ বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে তৃতীয় হন শিক্ষার্থী তানিয়া। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বারসিক পরিচালক গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বারসিকের ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জেয়ারদার, কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্কের রাইসুল ইসলাম ও স্বপন দাস, সিডিওর ইমরান, বারসিক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মন্ডল, মফিজুর রহমান, বাবলু জোয়ারদার, বরসা গায়েন, প্রতিমা চক্রবর্তী, লিপিকা, রুবিনা, চম্পা, মনিকা রানী প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত