ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আগাম জাতের শিম চাষে লাভবান মিঠাপুকুরের কৃষক

আগাম জাতের শিম চাষে লাভবান মিঠাপুকুরের কৃষক

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় মাঠজুড়ে শিমের ফুলের শোভা, চাষির মুখে হাসির আভা ছড়িয়েছে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে শীতের সবজি শিম খেত। যেদিকে তাকাই দেখা যায়, সবুজের সঙ্গে দুলছে বেগুনি রঙে রাঙানো ফুল। ওইসব এলাকার বাড়ির আশপাশে উঠানে কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন শীতের সবজি শিম আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে শিমের পরিচর্যা করছেন চাষি গোলাপ হোসেন। বেগুনি রঙের ফুলের শোভায় ভরে উঠছে শিম খেত। প্রকৃতিও বেশ অনুকূলে। শীতের শুরু না হতেই খেত থেকে শিম তুলে বাজারে বিক্রি করছেন অনেক চাষি। ভালো দাম পেয়ে চাষিদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির আভা। আগাম শিম চাষ করে ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো শিম। প্রতিবছরই উপজেলার উঁচু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে আসছে আগাম শিম। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন শীতের সবজি শিম আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। শীতের সবজি শিম খেতের দিকে তাকালেই দেখা যায়, সবুজের সঙ্গে দুলছে বেগুনি রঙে রাঙানো ফুল। সাদা ও বেগুনি রঙের মনোমুগ্ধকর ফুলে গ্রামের সবুজ খেতের প্রকৃতি সেজেছে যেন অন্য রকম এক মুগ্ধতায়। শিমের পরিচর্যা করছেন চাষি আমেনা বেগম। এরই মধ্যে কিছু শিম তুলে বিক্রি করেছি ১০০-১৫০ টাকা কেজিতে। শীত শুরুর আগে আগে শিম বিক্রি করতে পারলে লাভ বেশি হবে। সেভাবেই শিমের খেত তৈরি করেছি। ওই এলাকায় মাঠজুড়ে শিম খেত, যা অপরূপ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। শিমের গাছ, পাতাণ্ডফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ দিকে লতিবপুর ইউনিয়নের বাতাসন ফতেপুর গ্রামের আলম মিয়া আগাম শিমচাষ করে ভালো ফলনের আশা করছেন। গ্রামের কিছু চাষি বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকে ১৫০-২০০ টাকা কেজি দরে জমি থেকেই শিম নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। তবে অল্প কিছুদিন পর বাজারে আমদানি বেড়ে গেলে দামও নেমে আসে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। তারপরও বর্তমানে ভালো লাভ পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক পরিবারগুলো। এদিকে মিঠাপুকুর উপজেলা কাচারী বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, আজ শিম বিক্রি হচ্ছে খুচরা ৭০-৮০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০-২০০ টাকা কেজি। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল আবেদীন জানান, এবার ৪০ হেক্টর জমিতে চলতি বছর শীতকালিন শিম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। শীতকালীন সবজি শিম আগাম বাজারে নিয়ে আসতে হলে মার্চণ্ডএপ্রিলে জমিতে লাগাতে হয়। মে-জুনেও লাগানো হয়ে থাকে। এ বছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় সবজির চাষাবাদ ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভালো উৎপাদনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অফিস।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত