ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সন্ধ্যা নদীতে পোনা নিধনের মহোৎসব

সন্ধ্যা নদীতে পোনা নিধনের মহোৎসব

কাউখালীতে সন্ধ্যা ও চিরাপাড়া নদীতে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চরগড়া (এক ধরনের বিশেষ জাল) দিয়ে অসাধু জেলেদের অবাধে মাছের রেণু ও পোনা নিধনের মহোৎসবে মেতে উঠতে দেখা যায়।

এভাবেই প্রতিদিন এক শ্রেণির জেলেরা মাছ ধরার নামে রেণু, মাছের পোনা ও ডিম ধ্বংস করে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতি বছর এই মৌসুমে নদীর পানি জোয়ারে বাড়ে এবং ভাটার টানে শুকিয়ে যায়। এই সুযোগে জেলেরা নদীর পাড়ে পানি শুকিয়ে গেলে এক ধরনের বিশেষ জাল যা স্থানীয় ভাষায় চরগড়া নামে পরিচিত। সেই জালগুলো সুপারি গাছরে তৈরি খুঁটি ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে খুঁটি তৈরি করে পেতে রেখে আসে। জোয়ারের সময় পানি পরিপূর্ণ হলে জালগুলো পুনরায় উপরে উঠিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দিয়ে আসে। পরে জোয়ারের পানি যখন ভাটার টানে শুকিয়ে যায় তখন মাছের রেণু পোনা, ডিমসহ ছোট বড় সব ধরনের মাছ আটকা পড়ে যায়।

প্রায় অর্ধশত জেলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছের রেণু ও পোনা নিধনের মহোৎসবে মেতেছে বলে জানায় এলাকাবাসী। এভাবেই উপজেলার সন্ধ্যা, কচা, কালীগঙ্গা, চিরাপাড়া ও গাবখান নদীর তীরের চরগুলেতে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ নিধন করে।

এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য চরগুলো হলো চিরাপাড়া, সুবিদপুর, বাদামতলা, বিজয়নগর, বেকুটিয়া, জোলাগাতি, সোনাকুর, আমরাজুড়ী, রঘুনাথপুর, সয়না, ধাবড়ী, শির্ষা, হোগলাসহ ১৫-২০টি এলাকায় প্রতিদিন এভাবেই অবৈধভাবে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে কিছু অসাধুু জেলের বিরুদ্ধে। কাউখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন জানান, সংবাদ পেয়ে গতকাল অভিযান করে ২০ হাজার মিটার অবৈধ জাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, অভিযান অব্যাহত আছে, পরিধি আরো বাড়ানো হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত