ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ধোবাউড়া সীমান্তে ফের বন্যহাতির আনাগোনা

আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা
ধোবাউড়া সীমান্তে ফের বন্যহাতির আনাগোনা

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্তের গ্রামগুলোতে ফের আনাগোনা শুরু করেছে ভারতীয় বন্যহাতির দল। সন্ধ্যার পর থেকেই পাহাড় থেকে নেমে লোকালয়ে প্রবেশ করে হাতিগুলো। পাকা ধান টার্গেট করে বের হয়ে আসছে এসব হাতির পাল। হাতি আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সীমান্ত এলাকার মানুষজন। উপজেলার ভূইয়াপাড়া এবং দিগলবাগ, ঘিলাগড়া, চন্দ্রকোনা, গলইভাঙ্গা এলাকায় হাতির আনাগোনা বেড়েছে। ধান পাকা শুরু হতেই গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তে আনাগোনা বেড়েছে ভারতীয় বন্যহাতির। স্থানীয়রা জানান, এরইমধ্যে কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করেছে হাতির দল। কিছুদিন পরপর হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। কিন্তু এর কোনো স্থায়ী সমাধান পাচ্ছেন না সীমান্ত এলাকার মানুষজন। চলতি বছরেই হাতির আক্রমণে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ঘরবাড়ি, নষ্ট হয় সবজি বাগান। উপজেলার ঘোষগাঁও এবং দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের কড়ইগড়া, গোবরছনা, গাছুয়াপাড়া, দিঘলবাগ, ডেপুলিয়াপাড়া, ভূইয়াপাড়া, গলইভাঙ্গা গ্রামে ভারত থেকে নেমে এসে ৪০-৫০টি হাতির দল তান্ডব চালায়। এতে বাড়িঘর ভাংচুর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। দুজন লোক হাতির আক্রমনে মারা যায়। দক্ষিন মাইজপাড়া ইউনিযনের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির সরকার বলেন, হাতির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কিছু নাই, স্থানীয়দের নিয়ে তাড়ানোর ব্যবস্থা করি এবং ক্ষতিপূরণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাতি তাড়াতে নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। কৃষকদের দাবি, বন্যহাতির অত্যাচার বন্ধে সরকারি ভাবে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। এ বিষয়ে বনবিভাগের রেঞ্জ কমান্ডার দেওয়ান আলী বলেন, হাতির বিষয়ে আমরা এবছর অনেক তৎপর, আমাদের একটি টিম কাজ করছে, আশা করছি অন্যসময়ের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অনেক কম। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমীন বলেন, হাতির কাছে না যাওয়ার জন্য আমরা সচেতন করছি, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে আমরা বিভিন্ন পরামর্শ ও সহায়তা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত