ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পর্যটন মৌসুমে পর্যটকশূন্য রাঙামাটি

পর্যটন মৌসুমে পর্যটকশূন্য রাঙামাটি

বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যটনের জন্য ভরা মৌসুম। বছরের শেষ মাস দুটিতে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পর্যটকে ভরপুর থাকে। তবে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভাটা পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়। বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের হরতাল-অবরোধের প্রভাবে দেখা মিলছে না পর্যটকের। এ নিয়ে দিশেহারা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। হাউজ বোট ওনার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি বাপ্পি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মূল ভুক্তভোগী পর্যটন ব্যবসায়ীরা। মানুষ নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এছাড়া দেশের রাজনৈতিক প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। মানুষের যদি পকেটে টাকা থাকে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারে তবেই তারা ঘোরাঘুরি করতে বের হন। কিন্তু এখন তো মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ। যার কারণে পর্যটনের ভরা মৌসুমেও ভাটা পড়েছে। স্কয়ার আবাসিক হোটেলের স্বত্বাধিকারী নিয়াজ আহম্মেদ বলেন, পর্যটনের মৌসুম সত্ত্বেও দেশের বর্তমান অস্থিরতার কারণে একদম পর্যটকশূন্য রাঙ্গামাটি।

পর্যটক নেই বললেই চলে। শুক্রবার-শনিবার বন্ধের দিনও কেউ আসছে না ঝুঁকি মনে করে। আমাদের বিদ্যুতের খরচও তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাকি স্টাফ বেতন, ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ করা তো দূরের কথা। টুরিস্ট বোট ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, আমাদের পর্যটন ব্যবসা হয় বছরে শীতের তিনমাস। এছাড়া দুই ঈদের সময়। কিন্তু এখন পর্যটনের মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও দেশের অস্থিরতায় পর্যটক আসছে না। তাই ঘাটে সরিসারি টুরিস্ট বোট বেঁধে রাখা হয়েছে। মানবেতর দিনাতিপাত করছেন বোট চালকরা। বোট না চললে তো তাদের খাবার জোটে না। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের পরে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আশা করা যায় পর্যটক আসবে এবং ব্যবসা আবারও চাঙা হবে। রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা বলেন, পর্যটক নেই বললেই চলে। আমাদের পর্যটন কমপ্লেক্সে বিভিন্ন এনজিও প্রোগ্রাম চলছে। আর অল্পস্বল্প কিছু পর্যটন ও বিদেশিরা আসছেন। তবে তুলনামূলক একদমই কম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত