যশোরের কেশবপুরে ১২ দিন বয়সের যমজ দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে তাদের মাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করেছে শিশু দুটির মা সুলতানা খাতুন। গতকাল সকালে কেশবপুর পৌর সদরের সাহাপাড়ার নতুন মসজিদের পাশের ডোবা থেকে নিহত শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করার পর তার মাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী আবু বকর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কেশবপুর পৌর সদরের সাহাপাড়া নতুন মসজিদ এলাকার বাসিন্দা আবদুল লতিফ হাওলাদারের কন্যা সুলতানা খাতুন (৩৫) গত ১০ নভেম্বর যমজ দুইটি সন্তান প্রসব করে। এর মধ্যে একটি ছেলে ও একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই শিশু সন্তানের পিতা আবু বকর ও মা সুলতানার (স্বামী-স্ত্রীর) মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে শিশু সন্তান দুইটিকে তাদের বাড়ির পেছনের ডোবায় ফেলে তার মা হত্যা করে।
এরপর পুলিশ খবর পেয়ে গতকাল সকালে ওই ডোবা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আবু বক্কর তার স্ত্রীকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি আব্দুল লতিফ হাওলাদারের বাড়িতে বসবাস করত। থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আব্দুল লতিফের বাড়ির পেছনে থাকা ডোবা থেকে শিশু দুইটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে তার মাকে আটক করা হয়েছে। দুই শিশু সন্তানকে হত্যার ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী আবু বকর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানায় সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার মা সুলতানা খাতুন তার দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।