মাধবপুরের ডাকবাংলোয় পাখিদের নিরাপদ অভয়াশ্রম

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

যান্ত্রিক কোলাহলের শহর চারিদিকে গাড়ীর হর্ন তবুও পাখির নিরাপদ অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে মাধবপুর সড়ক ও জনপদের ডাকবাংলো চত্বরের গাছগুলো। সারা দিনই বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিছির মিচির শব্দ শোনা যায়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ ঘেঁষা ডাকবাংলোয় ভিআইপিদের গাড়ির হর্ন ও যান্ত্রিক কোলাহল নিত্যনৈমিত্তিক হলেও পক্ষিকুল তা মেনে নিয়েছে। রীতিমতো কয়েক হাজার পাখি এখানে সংসার বেঁেধছে। ডাকবাংলো চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতির দুই শতাধিক উঁচু গাছ রয়েছে।

এসব গাছে এখন শুধু পাখির কলরব। সন্ধ্যা নামার কিছু আগে গেলেই দেখা যাবে গাছগুলোর মগডালে বসে আছে সাদা বক, বালি হাঁস, পানকৌড়ি, সারসসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। পাখির কিছিরমিচির শব্দ আর কোলাহল অবলোকন করতে অনেক পাখি প্রেমিকের ভিড় এখন মাধবপুর সড়ক ও ডাকবাংলোর আশপাশে। দেশি পাখির সঙ্গে অনেক অতিথি পাখির আবাসস্থল হিসেবে পরিণত হয়েছে এ স্থানটি। প্রতিটি গাছের দিকে চোখ থাকালেই দেখা যাবে পাখির বাসা। এখানে পাখির অসংখ্য ছানার কিছির মিচি শব্দ মুখরিত। মাধবপুর ডাক বাংলোর কেয়ারটেকার মনোজ পাঠান জানান, বহু বছর আগে থেকেই এখানে দেশি সারস, বকসহ কিছু পাখির উপস্থিতি ছিল। প্রায় ৩-৪ বছর ধরে হঠাৎ করে এখানে পাখির আনাগোনা বেড়ে যায়। নানা প্রজাতির অতিথি পাখিসহ রয়েছে এখানে অনেক পাখি।

মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহিত মিয়া জানান, সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে কেউ ডাকবাংলোতে ঢুকতে চাইলে পাখির বিষ্ঠা পড়বে তার উপরে। কেউ এসব পাখিকে ডিসটার্ব করে না। নির্বিঘ্নে নিরাপদে পাখিরা এখানে বসবাস করছে। আমরা দেখতে পাই বাংলোর কেয়ারটেকারও সতর্ক থাকে কেউ যাতে পাখিদের ক্ষতি না করে। এ কারণে দিন দিন পাখির সংখ্যা বাড়ছে এখানে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যান্ত্রিক কোলাহল সৃষ্টি করলেও এ যান্ত্রিকতাটুকুও বাংলোর চত্বরে পক্ষিকুল মেনে নিয়েছে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে মহাসড়কের পাশে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পাখির কিচিরমিচির শব্দ উড়ন্ত শত শত পাখির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে মানুষের ভিড় বাড়ছে ক্রমেই।