বেনাপোলে প্রতারণা অভিযোগে ১০ দোকানে তালা

বেনাপোল চেকপোস্টে পাসপোর্টধারী দেশ-বিদেশি যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা, ছিনতাই ও ভ্রমণকর জালিয়াতির অভিযোগে ১০টি দোকানে তালা ঝুলিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে আগে থেকে দোকান ফেলে পালিয়ে যায় প্রতারকরা। গতকাল ভোরে থেকে শারমিন ও জাকির নামে দুই পাসপোর্টধারীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা প্রতারনার করে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে এসব দোকানে তালা দেয় পুলিশ। এর আগেও একাধিকবার এসব দোকানে তালা ঝুলিয়ে প্রতারকদের আটক করা হয়। তবে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এরা লালিত থাকায় বার বার ছাড়া পেয়ে আবারও প্রতারনাই যুক্ত হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতারকরা বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন ও বন্দর প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে থেকে দ্রুত পাসপোর্টে কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে এসব দোকানে বসাতো যাত্রীদের। পরে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারনার মাধ্যে জাল ভ্রমণ কর রশিদ তৈরি কখনও সঙ্গে থাকা টাকার নাম্বার লেখার কথা বলে কৌশলে হাতিয়ে নিত অর্থ। এদের কেউ দোকানের নাম আবার কেউ নাম বিহীন ঘরে এসব প্রতারনার কার্যক্রম চালাত। গত ৩ মাসে বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্যাকসিন সনদ জালিয়াতি, যাত্রী হয়রানি ও নানান ধরনের প্রতারনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাওন এন্টারপ্রাইজে ৪ বার তালা ঝুলিয়েছে পুলিশ। দেকানটি মালিক শাহিন মনিরামপুরের কাঠালতলান, আলী গ্রামের হাসান গাজীর ছেলে। তার সহযোগী হাসানের বাড়ি বেনাপোলের কাগজপুকুরে। এছাড়া বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের মমিনের ছেলে শামিমকে ১ মাসের মধ্যে দুইবার জাল ট্যাক্সসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারনার অভিযোগে চেকপোষ্ট এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ১০টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।