ভূরুঙ্গামারীতে বেওয়ারিশ কুকুর আতঙ্ক

দুই দিনে কুকুরের কামড়ে আহত পাঁচ

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বেওয়ারিশ কুকুরের ছড়াছড়ি। দুই দিনে কুকুরের কামড়ে অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের টিকার সরবরাহ না থাকায় এবং বেওয়ারিশ এসব কুকুর নিধনে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, উপজেলা সদরের প্রতিটি অলিগলিতে বেওয়ারিশ কুকুরের ছড়াছড়ি। সারাক্ষণ এসব কুকুর দলবেঁধে ঘুরে। অনেক সময় হামলে পড়ে পথচারীদের ওপর। গত দুই দিনে উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামের অক্ষর মোড় এলাকায় কুকুরের কামড়ে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষসহ গরু-ছাগলকে কামড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকালে কুকুরের কামড়ে অক্ষর মোড় এলাকার হাসেন আলী ও আসিফ বাবু নামে দুজন আহত হন। আসিফ বাবুর পিতা শাহজাহান আলী জানান, আমার ছেলে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। সাথে সাথে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেছি। কিন্তু হাসপাতালে কোনো ভ্যাকসিন না থাকায় ডাক্তার লিখে দিয়েছেন সেই ভ্যাকসিন ফার্মেসি থেকে কিনতে হয়েছে। বরকত উল্লাহ, শের আলীসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আমরা গরিব মানুষ। সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেই। এত টাকা দিয়ে বাইরে থেকে ভ্যাকসিন ক্রয় করব কীভাবে। কুকুরে কামড়ালে তাৎক্ষণিক আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, কুকুর কামড়ালে প্রথমে ক্ষতস্থান চেপে ধরতে হবে; যাতে তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। এরপর হাল্কা গরম পানি দিয়ে এবং খার-জাতীয় বা সাবান দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে ক্ষত পরিষ্কার করতে হবে। যতটা সম্ভব আক্রান্ত স্থানকে উঁচু করে রাখার চেষ্টা করতে হবে। পরবর্তীতে সরকারিভাবে হলে চারটি আর বেসরকারিভাবে হলে পাঁচটি ভ্যাকসিন শূন্য, তৃতীয়, সপ্তম, ১৪ ও ২৮তম দিবসে দিতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, সরবরাহ না থাকায় সপ্তাহখানেক ধরে এ সেবাটি বন্ধ রয়েছে। তবে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন সুবিধা চালু রয়েছে। তিনি আরো জানান, আগামী মাসিক মিটিংয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।