দুটি দৃষ্টিনন্দন গেট পাচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর হোসেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রতিষ্ঠার ১৮তম বছরে এসে দৃষ্টিনন্দন দুটি গেট পাচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গেট দুটি নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে গেট ২টির নির্মাণকাজ শুরু হবে।

গতকাল শনিবার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. জোবায়ের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আর্কিটেকচারাল ডিজাইনে দেখা যায়, দৃষ্টিনন্দন এই গেট ২টি হবে একই ডিজাইনের। প্রতিটি গেটের উপরে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। গেটের বাম ও ডান পাশে থাকবে পাঁচটি করে খণ্ডায়িত মোট ১০টি দেয়াল।

বাম পাশের প্রথম দেওয়ালে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। লোগোর নিচে থাকবে বাংলা ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। ডান পাশের প্রথম দেওয়ালে থাকবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত ‘কারার ওই লৌহ-কপাট’ গানের ৯টি লাইন। লাইনগুলো হলো- ওরে ও তরুণ ঈশান/বাজা তোর প্রলয় বিষাণ/ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি/কারার ঐ লৌহকপাট/ভেঙে ফেল কর রে লোপাট/ রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী/ ওরে ও তরুণ ঈশান/বাজা তোর প্রলয় বিষাণ/ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি। গেটের মাঝে থাকবে রাস্তা বিভাজক। উভয়পাশেই থাকবে দারোয়ানদের জন্য ছোট কক্ষ। গেট ২টির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফাস্ট গেইট’ নামে পরিচিত চেকপোস্ট সংলগ্ন স্থানে এবং অন্যটি ‘সেকেন্ড গেট’ নামে পরিচিত চেকপোস্ট সংবলিত স্থানে নির্মিত হবে। সদ্যনির্মিত সুগঠিত সীমানা প্রাচীরের সাথে দৃষ্টিনন্দন এই গেট ২টি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তাও বহুগুনে বৃদ্ধি করবে। নতুন গেট সম্পর্কে নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. জোবায়ের হোসেন বলেন, উপাচার্য মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইটি প্রধান গেট নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।

আনন্দ প্রকাশ করে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ (স্নাতক) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বাপ্পী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘সিম্বলিক’ নিদর্শন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্বতা ও স্বকীয়তা বহন করে এটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও আবেগের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে প্রধান গেট। ১৭ বছর ধরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ দ্বারে কোনো গেট নেই। একটি গেট আছে যেটি ক্যাম্পাস থেকে অনেক দূরে। এটি আমাদের জন্য একটি অপূর্ণতা ছিল। এত বছর পর সব ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারদিকে দৃশ্যমান বেষ্টনী এবং গেট নির্মাণের কাজ হাতে নেয়ায় উপাচার্য স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রত্যাশা করছি কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই গেট ২টি দ্রুততম সময়ে দৃশ্যমান হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা আমাদের আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করছি ২টি গেট করতে এবং আগের তুলনায় দৃষ্টিনন্দন করতে। আমরা দ্রুততম সময়ে ২টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। আমরা আশা করছি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের গেটের কাজ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং দ্রুততম সময়ে আমরা গেটের কাজ শুরু করতে পারব।