ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

একযুগ ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বী সংগ্রাম

একযুগ ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বী সংগ্রাম

পৃথিবীতে ঝালমুড়ি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমেই আছে। ছোট বড় সব বয়সি মানুষের পছন্দ ঝালমুড়ি। আর যদি সুস্বাদু ঝালমুড়ি হয়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। বলছি শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া কানাশাখোলা বাজারের ঝালমুড়ি বিক্রেতা সংগ্রাম আলীর কথা। তার দোকানে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত ঝালমুড়ি বিক্রি হয় ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। একযুগ ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বী তিনি। ফাইভ টেন ঝালমুড়ি এন্ড আচার দোকানে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষার তেল বুট, পেঁয়াজু, আলুর চপ দিয়ে অত্যন্ত মুখরোচকভাবে মুড়ি মাখিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছেন তিনি। ঝালমুড়ি সঙ্গে নিজ হাতে তৈরি করা বরই আচার বিক্রি করেন। এই সুস্বাদু ঝালমুড়ি বরই আচার খেতে শুধু শেরপুর নয় বিভিন্ন এলাকা থেকেও তার দোকানে আসেন লোকজন। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তার দোকানে ঝালমুড়ি বিক্রি হয়। ঝালমুড়ি বিক্রি করেই তিনি এখন স্বাবলম্বী। ২০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি প্লেট ঝালমুড়ি বিক্রি হয় তার দোকানে। সরেজমিন, সংগ্রাম আলীর দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তার দোকানে ঝালমুড়ি খেতে ভিড় করছে ক্রেতারা। অনেকে তার মাখা মুড়ি খেতে ব্যস্ত। ঝালমুড়ি বিক্রি করে পরিবারের যাবতীয় খরচ এখান থেকে বহন করছেন তিনি। ঝালমুড়ি খেতে আসা তারা মিয়া বলেন, সংগ্রাম আলীর হাতের মাখা মুড়ির কোনো তুলনাই করা যায় না। যে একবার খাবে তাকে পুনরায় আসতে হবে তার দোকানে ঝালমুড়ি খেতে। তার হাতের ঝালমুড়ি না খেলে যেন মানুষের দিনেই কাটে না। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো দোকান খোলা থেকেই যেন সিরিয়াল দেয়া শুরু হয় আর ঝালমুড়ি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়াল থাকে। ঝালমুড়ি বিক্রেতা সংগ্রাম আলী বলেন, একযুগ ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে আসছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত