শীতের আগমনে ব্যস্ত লেপ তোশক কারিগররা

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

শীতের আগমনে দুমকী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগর ও ব্যবসায়ীরা। লেপ-তোষকের দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনায় সরব হয়ে উঠেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দুমকি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অর্ধশতাধিক দোকান রয়েছে। এসব দোকানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কারিগররা বিরতিহীন নিরলসভাবে নিপুন হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ায় নানা নকশায় বাহারি রঙের লেপ, তোষক ও জাজিম তৈরি করছে। উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পীরতলা বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম বিশ্বাস, আবুল কালাম বিশ্বাস ও ফারুক হোসেন, হুমায়ূন কবির জানান, এ বছর তুলা, কাপড় ও সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোষক তৈরির খরচ বেড়ে গেছে। আঙ্গারিয়া বাজারের ব্যবসায়ী বাদল সরদার জানান, প্রতি জোড়া লেপ-তোষক তৈরিতে কারিগরদের মজুরি ৭ থেকে ৮০০ টাকা দিতে হয়। সে হিসেবে সব মিলিয়ে উৎপাদন ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়। মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী টিটু, ওবায়দুল হাওলাদার ও রশিদ হাওলাদার ও বলেন, শীতের শুরুতে বেচাকেনা খুব ভালো হচ্ছে। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাহিন হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির কারণে এ বছর লেপ-তোষকের দামও বেড়েছে। তিনি একজোড়া লেপ-তোষক ৬ হাজার টাকায় অর্ডার দিয়ে কিনেছেন বলে জানান। পবিপ্রবির শিক্ষার্থী তানজিলা তাবাসসুম ও মো. ইসমাইল হোসেন একটি সিঙ্গেল তোষক ক্রয়ের সময় বলেন, এবছর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কারণে বেশি মূল্যে কিনতে হয়েছে। মো. শহিদুল ইসলাম নামের এক কারিগর বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৮০০ টাকা মজুরিতে একজোড়া লেপ-তোষক তৈরি করি। কেউ যদি অর্ডার দিয়ে তৈরি করাতে চায় সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি তুলা ২০০ টাকা, প্রতি কেজি ঝুট ৬০ টাকা, লেপের কাপড় ৫০ থেকে ৬০ ও তোষকের কাপড় ৫৫ থেকে ৭০ টাকায় প্রতি গজ বিক্রি করি। তিনি আরো বলেন, দিনে ৩ জোড়া লেপ-তোষক তৈরি করতে পারি। আ. রশীদ হাওলাদার নামের এক কারিগর বলেন, দৈনিক ৮০০ টাকা মজুরিতে বিভিন্ন দোকানে লেপ-তোষক তৈরির কাজ করি। শীতের আগমনে কাজ কাম বেশি তাই রাতেও কাজ করি। এছাড়াও শীতের আগমনে একশ্রেণির ভাসমান ব্যবসায়ীদের এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে লেপ-তোষকসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়।