ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কলেজছাত্র আলভীর ব্যতিক্রমী চায়ের দোকান

কলেজছাত্র আলভীর ব্যতিক্রমী চায়ের দোকান

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৈয়দ সজিবুর আলভী। কোনো কাজই যে ছোট নয়, সে কথা আরেকবার প্রমাণ করেছেন তিনি। নিজের শখের ল্যাপটপ বিক্রি করে দিয়েছেন টং দোকান। বিক্রি করেন হরেক রকমের চা। এতে তার মাসিক আয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। আলভীর দোকানে রয়েছে স্টিকি নোটের ব্যবস্থা। খাওয়ার পর খাবারের মান কেমন ছিল তা লিখে একটি বোর্ডে লাগিয়ে রাখতে পারবেন যে কেউ। সরেজমিন দেখা যায়, নড়াইলের ঐতিহ্যবাহী বাঁধাঘাটের সামনে ছোট্ট একটি টং দোকান দিয়েছেন আলভী। সেখানে কেটলি হাতে চা বানাচ্ছেন তিনি। রং চা থেকে শুরু করে তান্দুরি, তেঁতুল, অপরাজিতা, কাশ্মীরি, বুলেট, বিটরুট, তুলসি, বাম্বু, মালাই ও বাদামসহ ২০ প্রকারের চা মেলে তার দোকানে। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে প্রকারভেদে এসব চা বিক্রি হয় ৫০ টাকা পর্যন্ত। এর পাশাপাশি লেবুর পিনিক ও সুস্বাদু চিকেন মোমো বিক্রি করছেন আলভী। তার এসব খাবারের স্বাদ নিতে প্রতিদিন তার দোকানে ভিড় করছেন নানা বয়সি মানুষ। খাবারের মান ভালো হওয়ায় প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। চা ও মোমো বিক্রি করে প্রতিমাসে আলভী আয় করছেন ২৫-৩০ হাজার টাকা। যা দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলছে তার পড়াশোনা। পাশাপাশি সহযোগিতা করতে পারছেন পরিবারকে। তরুণ উদ্যোক্তা ও টং দোকানের মালিক সৈয়দ সজিবুর আলভীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে চীনা ভাষা শিখতে নড়াইল থেকে ঢাকায় গিয়েছিলেন আলভী। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি খাবারের দোকানে চাকরি নেন। তবে কাজ ঠিকঠাক করলেও বেতন ঠিকমতো পেতেন না। এরপর ঠিক করেন নিজেই উদ্যোক্তা হবেন। চায়ের দোকান দেবেন। তবে একথা বাড়িতে জানালে কেউ তা মেনে নেননি। শুধু তাই নয়, পরিচিত কেউই বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। তবে কারো কথায় কান না দিয়ে নিজের স্বপ্নের পেছনে ছুটতে থাকেন আলভী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত