আসছে নির্বাচন

কুমিল্লার মাইকপাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের প্রচার শুরু হবে। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়ে গেছে। মনোনয়নপত্রের কাজ শেষে শুরু হবে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের কাজ।

প্রতীক পাওয়ার পর প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়বেন প্রার্থীরা। তবে প্রচারের জন্য পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনের পাশাপাশি মিছিল ও সভা-সমাবেশের জন্য অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে মাইক। তাই নগরীর মাইকপাড়ার লোকজনের মধ্যে চলছে আগাম প্রস্তুতি। এককথায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মাইক পাড়ায় চলছে কর্মযজ্ঞ। একাধিক মাইক সার্ভিস ব্যবসায়ীদের দোকানে এমন দৃশ্য দেখা যায়। পুরোনো মাইক সার্ভিসিং করে সচল করা হচ্ছে। ঘষাঁমাজা করে রঙ চড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নতুন রূপ। আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে নতুন মাইকগুলোতেও। এই মাইকগুলোর প্রতিটি ভাড়া হবে ক্ষেত্র বিশেষে দৈনিক দুই-তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। সরেজমিনে কুমিল্লা শহরের চকবাজার, ছাতিপট্টি, পদুয়ার বাজার, রাজগঞ্জ এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের প্রচারের প্রধান মাধ্যম হিসেবে দম ফেলার ফুসরত থাকে না মাইকপাড়ার লোকজনের। তাই বেশ আগে ভাগেই চলছে পুরোনো মাইকগুলো মেরামতের কাজ। নুর মাইক, পপুলার মাইক, আজাদ মাইক, খোকন মাইক, তানিয়া মাইকসহ কয়েকটি দোকানে দেখা যায়, মালিক, টেকনিশিয়ানও কর্মচারী মিলে মাইকের হর্নসহ আনুষঙ্গিক যাবতীয় যন্ত্রপাতি মেরামতের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। নুর সাউন্ড সিস্টেমের স্বত্বাধিকারী নুরুল হক বলেন, নির্বাচনে সভা-সমাবেশে, মিছিল মিটিংয়ে প্রচারণার অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে মাইক। তাই মাইক সার্ভিসের পেশাদার দোকানিরা এবার জোরালো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোটামুটি ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় এই পেশার মানুষের। বাকি সময় অনেকটা নিরুত্তাপ থাকে মাইকপাড়া। কিন্তু নির্বাচন উপলক্ষ্যে অন্য বছরের তুলনায় এবারের মৌসুমে ভালো সময় কাটবে বলেই আশা করছেন পদুয়ার বাজারের এই মাইক বিক্রেতা। মাইক ব্যবসায়ী জুয়েল রানা জানান, আগে প্রার্থীর পক্ষে মানুষ বিভিন্ন কথা বলে প্রচার-প্রচারণা চালাতেন। এখন সেই অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বেশ আগ থেকেই স্ব স্ব প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় স্লোগান রেকর্ড করা হয়। অনেকেই আবার গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্লোগান রেকর্ড করে নেন। ছেলে-মেয়ের মিষ্টি কণ্ঠে সবকিছু মিলিয়ে তা রেকর্ড করা হয়। ধারণকৃত সেই রেকর্ড মাইকযোগে প্রচার করা হয়। এ ছাড়াও যত মাধ্যমেই প্রচারকাজ চালানো হোক না কেন, সভা-সমাবেশে প্রত্যেক প্রার্থী অবশ্যই মাইক ব্যবহার করে থাকেন। তাই আশা করি, কয়েক বছরের লোকসান কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারব।