সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকালে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত সোমবার রেকর্ড হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, উত্তরের হিমালয়কন্যাখ্যাত জেলায় চলতি নভেম্বর মাস থেকে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। দিন দিন কমছে তাপমাত্রা। বাড়ছে শীতের পরশ। বর্তমানে ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও বিকাল গড়লেই হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বইতে থাকে শীতের প্রকোপ। ভোরে দেখা মেলে কুয়াশার চাদরে জড়িয়েছে প্রকৃতি। সে কুয়াশায় ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। শীত ঘিরে বেড়েছে শীতের পোশাকের চাহিদা। স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলে পৃথিবীর উচ্চতম হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্ঘ থাকায় শীতের অক্টোবরের শেষ থেকে শুরু হয় শীতের আমেজ। নভেম্বরের শুরু থেকে কমতে থাকে তাপমাত্রা। গত কয়েক বছর ধরে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীত নামতে দেখা যায়। শীতের আগমনে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ফুটপাট দোকানে নিম্নবিত্ত মানুষদের কাপড় কিনে দেখা গেছে। তবে এখনো সেভাবে শীত না নামায় ফুটপাতগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে শীতের কাপড়ের দোকান সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, ট্রাউজার, টুপিসহ বিভিন্ন রকমের শীতের কাপড় উঠে এসব দোকানগুলোতে। লেপ-তোশক দোকানগুলোতে বেড়েছে কারিগরদের ব্যস্ততা। এদিকে শীত ঘিরে বেড়ে নানান শীতজনিত রোগ। এসব রোগব্যাধি থেকে সুরক্ষিত থাকতে চিকিৎসকরা শীতে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য এলাকা থেকে এ জেলায় শীতের আগমন ঘটে আগে, যার কারণে নভেম্বর থেকেই শীতের আমেজ শুরু হয়। গতকাল সকালে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বনিম্ন। তবে গত সোমবার সকালে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সামনে তাপমাত্রা আরো কমে আসবে বলে তিনি জানান।