লালমনিরহাটে ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

শীত এলেই শহর-গ্রামে বসে বাহারি সব পিঠার হাট। এরই মধ্যে লালমনিরহাটের শহর, গ্রামগঞ্জে ধুম পড়েছে ভাপা পিঠা বিক্রির। বিকেল থেকে বিক্রি শুরু হলেও বাজার জমে উঠে সন্ধ্যার দিকে। সঙ্গে থাকে সরিষা বাটা, ধনিয়াপাতা, শুঁটকির ভর্তাসহ আরো হরেক রকম ভর্তা। প্রতি পিস ধোঁয়া উঠা এসব পিঠা পাওয়া যায় মাত্র ১০ টাকায়। লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় মহাসড়কের পাশে কিংবা ছোট-বড় অসংখ্য বাজারগুলোতে ভাপা আর চিতই পিঠার দোকান দিয়ে বসেছেন অনেকেই।

এদিকে নতুন ধানের পিঠা খেতে দোকানের চারদিকে অপেক্ষায় রয়েছে নানা বয়সি মানুষ। নতুন ধানের তৈরি করা চালের গুড়া, গুড় ও নারিকেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা। প্রতিটি পিঠা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। দাঁড়িয়ে খাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য। ভাপা পিঠার পাশাপাশি অনেক জায়গায় বিক্রি হচ্ছে চিতই পিঠাও। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, লালমনিরহাটে পাটগ্রাম বুড়িমারী মহাসড়কের পাশেই কবরস্থান বাজারের বসেছে ভাপা পিঠার দোকান। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার সুখানদিঘি ও হাতীবান্ধা উপজেলায় বড়খাতা বিডিআর বাজারে কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভাপা পিঠার দোকান বসিয়ে বিক্রি করছেন। আগাম ধানের ভাপা পিঠা খেতে দোকানের চারদিকে ঘিরে আছে ক্রেতারা। নতুন ধানের পিঠার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। ভাপা পিঠা বিক্রেতার রশিদুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ ধরে ভাপা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছি। মানুষ প্রচুর খাচ্ছে। প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার পিঠা বিক্রি করছি। শীত বাড়লে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকার পিঠা বিক্রি হবে। সেই অপেক্ষায় আছি। ভাপা পিঠা বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, শীত আসলে আর ভ্যান চালাই না। এই শীতের সুকানদিঘি এলাকায় ভাপা পিঠা চিতই পিঠা বিক্রি করি। এতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করি। এতে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় হয়। সে টাকায় সংসার চালে। পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মুখলেসুর রহমান বলেন, বর্তমানে নতুন ধান দিয়ে গ্রামগঞ্জে শুরু হচ্ছে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম। বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বিক্রি হচ্ছে। পিঠে খেতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, নতুন ধানের ভাপা পিঠা খেয়ে অনেক ভালো লাগছে। ধানের পিঠার আগাম স্বাদ পেলাম। কবরস্থান বাজারের ব্যবসায়ী মকবুল বলেন, আমি প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এসব দোকান থেকে পিঠা খাই।

আগে যদিও বাড়িতে এসব পিঠা বানানোর হিড়িক পড়ত, এখন তা আর দেখা যায় না। কালীগঞ্জ উপজেলার সুকানদিঘি বাজারের ব্যবসায়ী আজিজুল বাড়ি বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় সুকানদিঘি বাজারে ভাপা পিঠা বিক্রি করেন আনিসুর রহমান। এই পিঠা খেতে অনেকেই তার দোকানে ভিড় করে।