বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নওগাঁ প্রতিনিধি

সারা দেশের মতো নওগাঁয় হালকা শীতের আমেজ বইতে শুরু করেছে। এ কারণে হাসপাতালে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট। সপ্তাহের ব্যবধানে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চিকিৎসক ও নার্সদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল হলেও এর কার্যক্রম চলে ১০০ বেডের এবং জনবল রয়েছে ১০০ বেডের। এখানে হাসপাতালের পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ১২টি হলেও ভর্তি রয়েছে ৫০ জন। ষষ্ঠ তলায় মেডিসিন নারী ওয়ার্ডে ২৬টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬৬ জন এবং সপ্তাম তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে ২৫ বেডের জায়গায় ৬৪ জন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও বেড সংকুলান না হওয়ায় অনেকে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শীতজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২৩০ জন রোগী। প্রতিদিনই ১৫-২০ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া আউটডোরে শীতজনিত রোগে প্রতিদিনই ১০০-১৫০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। হাসপাতাল থেকে অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ করা হলেও স্যালাইনের স্বল্পতা রয়েছে। এ কারণে রোগীর স্বজনদের বাহির থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। বাহিরে ওষুধের দোকানে গত ৩-৪ মাস থেকে কলেরা স্যালাইন সংকট রয়েছে। তবে নরমাল স্যালাইন সচরাচর সব দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে। ওষুধের দোকানে কথা বলে জানা যায়, গত ৩-৪ মাস থেকে কলেরা স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা পাঠালেও কোম্পানিগুলো আর দিচ্ছে না। আবার কিছু কোম্পানি স্যালাইনের সঙ্গে প্যাকেজ হিসেবে অন্য ওষুধ কিনতে বাধ্য করছে। যার কারণে অনেকেই কলেরা স্যালাইন কিনতে আগ্রহী না। যা কোম্পানির সিন্ডিকেট বলে মনে করছেন দোকানিরা। শহরের সুলতানপুর মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, তার দুই বছরের বাচ্চা হঠাৎ করে বিকালে বমি করে। পরে সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েকবার পাতলা পায়খানা করে। কিছু ওষুধ হাসপাতাল থেকে পাওয়া গেছে। তবে স্যালাইনের স্বল্পতা থাকায় বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। নওগাঁ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, শীতজনিত কারণে হাসপাতালে স্বাভাবিকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে। রোগীদের অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ করা হলেও স্যালাইনের কিছুটা স্বল্পতা রয়েছে। শীতের গরম পোশাক পরিধান করাসহ ও ঠান্ডা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বগুড়া থেকে দ্রুত ওষুধ সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।