ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অভয়নগরে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের সংকট

অভয়নগরে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের সংকট

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ননজুডিশিাল স্ট্যাম্প কিনতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দেড় মাস ধরে এ উপজেলায় ১০০ টাকার স্ট্যাম্প সংকট দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ১০০ টাকার স্ট্যাম্পের জন্য নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। গতকাল উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও দলিল লেখক সমিতির চত্বরে ঘুরে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার নওয়াপাড়া দলিল লেখক সমিতি চত্বর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কিছু অসাধু স্ট্যাম্প ভেন্ডার এমন সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। সেবাগ্রহীতাদের পকেট থেকে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট। ৫০ টাকার স্ট্যাম্পের জন্য গুণতে হচ্ছে ৭০ টাকা। ১০০ টাকার ননজুুডিশিয়াল স্ট্যাম্প কিনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দিয়ে। সব ধরনের স্ট্যাম্প কিনতে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। সেবাগ্রহীতারা জানান, দলিল নিবন্ধন, জমির দলিল, চুক্তিপত্র, নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিট, হলফনামা, বন্ধকনামার চুক্তিপত্র, মালামাল খালাস আদেশ, শুল্ক বন্ড, শেয়ার বরাদ্দ, মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন কাজে স্ট্যাম্প ব্যবহার বাধ্যতামূলক। আর এই সুযোগে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে স্ট্যাম্প বিক্রি করছেন কিছু অসাধু স্ট্যাম্প ভেন্ডার। স্ট্যাম্প কিনতে আসা ফজর আলী শেখ, হান্নান রহমান, রহমত আলী বলেন, নতুন দোকান ভাড়া নিয়েছি। চুক্তিপত্র করতে ৩০০ টাকার তিনটা স্ট্যাম্প লাগবে।

দুই দিন ধরে ঘুরে ঘুরে পাইনি। নওয়াপাড়া এলাকার মনির শেখ বলেন, নওয়াপাড়ায় না পেয়ে যশোর থেকে তিনটি স্ট্যাম্প কিনেছি ১৩০ টাকা প্রতি ৩৯০ টাকা দিয়ে। উপজেলার নওয়াপাড়া দলিল লেখক সমিতির আওতায় ৯ জন স্ট্যাম্প ভেন্ডার রয়েছেন। এর মধ্যে সেখানে স্ট্যাম্প তোলেন মাত্র আট জন। স্ট্যাম্প ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বাবু বলেন, যশোর জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় স্ট্যাম্প সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে ১শ’ টাকার স্ট্যাম্প ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এই স্ট্যাম্পগুলো বাহির থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে কিনে আনা হয়েছে। এ কারণে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে ক্রেতাদের স্ট্যাম্প কিনতে হয়েছে। তবে ২-১ দিনের সব ঠিক হয়ে যাবে। এবং নির্ধারিত মূল্যেই স্ট্যাম্প পাওয়া যাবে। দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, স্ট্যাম্প সংকট বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে। ভেন্ডাররা বাইরে থেকে স্ট্যাম্প এনে বিক্রি করছেন। স্ট্যাম্পগুলো আনতে খরচ বেশি হয়। যার কারণে অনেক সময় বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তাছাড়া সমিতির আন্ডারে যারা বেশি দামে স্ট্যাম্প বিক্রি করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান জানান, স্ট্যাম্পের দাম বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সংকট থাকলেও দাম বেশি নেওয়া যাবে না। এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলেই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হবে স্ট্যাম্প।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত