টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের দায়ে শহীদুল ইসলাম নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বিকালে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন। রায়ে যৌন নিগ্রহের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর ভরণপোষণ রাষ্ট্র বহন করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দণ্ডিত শহীদুল ইসলাম খোকন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শেখ শিমুল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁশুলি (পিপি) আলী আহমেদ জানান, যৌন নিগ্রহের শিকার ওই নারী ঘাটাইল উপজেলার একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দণ্ডিত শহীদুল ইসলাম খোকন তার প্রতিবেশী চাচাতো ভাই। সেই সুযোগে শহীদুল ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে ও মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২০২১ সালের ১ অক্টোবর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শহীদুল নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীর ওপর যৌন নিগ্রহ চালায়। এরপর সুযোগ পেলেই শহীদুল ওই মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি ছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানতে পারায় স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়। তখন শহীদুল তাকে বিয়ে করবে এবং ওই অনাগত সন্তানকে স্বীকৃতি দেবে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে শহীদুল ওই ছাত্রীকে বিয়ে না করে আত্মগোপনে চলে যায়। ২০২২ সালের ২০ মে ওই ছাত্রীর মামা ছানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। পরে ওই ছাত্রী ফুটফুটে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। ডিএনএ পরীক্ষায় অভিযুক্ত শহীদুল ওই শিশুর জৈবিক পিতা বলে প্রমাণিত হয়।
