হ্যান্ডপেইন্ট শিখে স্বাবলম্বী এ্যানি

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

স্বামীর মৃত্যুর পর দিশেহারা হয়ে পড়েন প্রমিতা এ্যানি। ছোট বোন ও ভগ্নিপতির পরামর্শে বিকল্প আয়ের জন্য ইউটিউব দেখে শুরু করেন হ্যান্ডপেইন্টের কাজ। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার হাতের নিখুঁত ডিজাইনের শাড়ি, পাঞ্জাবি, টু-পিস, বেড শিট ও শিশুদের পোশাক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ক্রেতাদের কাছে।

এ্যানির সফলতা দেখে ভোলার স্থানীয় নারীরাও ছুটে আসছেন তার কাছে কাজ শিখতে। প্রমিতা এ্যানি জানান, তিনি বর্তমানে শাড়ি, পাঞ্জাবি, টু-পিস, ওয়াড পিস, বেড শিট ও শিশুদের পোশাকে হ্যান্ডপেইন্ট করে থাকেন। অনলাইন ও স্থানীয়ভাবে তিনি অর্ডার পেয়ে থাকেন। প্রতিমাসে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকার অর্ডার পান তিনি। এতে সব খরচ বাদে মাসে তার আয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর এই আয় দিয়ে তার দুই সন্তানের লেখাপড়া, ব্যবসা বৃদ্ধি ও সংসারের খরচ চলে। তার ডিজাইন করা শাড়ি দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা, পাঞ্জাবি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, ওয়ান পিস ও টু-পিস ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, বেডশিট ২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার ও বাচ্চাদের পোশাক ৩০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটের ঘর গ্রামের প্রমিতা এ্যানি দুই সন্তানের মা। ২০২০ সালে স্বামী রবিন্দ্র মজুমদার পিন্টুর অকাল মৃত্যু হয়। এরপর মাসসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। দিশেহারা হয়ে পড়েন সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। পরে ছোট বোন সঙ্গিতার বাড়িতে বেড়াতে যান। তখন বোন ও ভগ্নিপতির পরামর্শে ঘরে বসে বিকল্প আয়ের চিন্তা করেন। এরপর স্বামীর বাড়ি ফিরেই ইউটিউব দেখে ২০২১ সালের জুলাই মাসে শুরু করেন হ্যান্ডপেইন্টের কাজ। খুব অল্প সময়ে তার হাতের নিখুঁত কাজ ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভোলা পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফারজানা হাসি ও সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের ভোটের ঘর গ্রামের সোমা মজুমদার জানান, তারা এ্যানির কাছ থেকে কাজ শিখছেন। শেখা শেষ হলে তারাও ঘরে বসে এ কাজ করবেন। ভোলা সদরের ইলিশা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ক্রেতা মিতু রানী দে জানান, তিনি লোকমুখে শুনে এ্যানির কাছে একটি শাড়ির অর্ডার দেন। সেটি পরার পর সবাই ডিজাইনের প্রশংসা করেন। পরে তার আশপাশের নারীরাও এ্যানির কাছে অর্ডার দেন।