নওগাঁয় হাটে নতুন ধানের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

নওগাঁয় শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা-মাড়াই। হাটে নতুন আমন ধানের সরবরাহ বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে ধানের দাম কমেছে মণে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত। আবার পুরোনো ধানের দাম মণে ১৫০-২০০ টাকা বেড়েছে। চাষি অভিযোগ- হাটে ধানের সরবরাহ বাড়লে ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দেয়। এতে কম কামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয় কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। যা থেকে ৯ লাখ ৭ হাজার ৫২৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের। গত বৃহস্পতিবার ছিল জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাট। হাটে নতুন জাতের আমন ধান স্বর্ণা-৫ ও জাত ৪৯ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০ টাকা পর্যন্ত, জাত ৫১ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০ টাকা এবং জাত ৯০ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। হাটে নতুন জাতের ধানের সরবরাহ বাড়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণে কমেছে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে মৌসুমের শেষ সময় হওয়ায় পুরোনো ধানের সরবরাহ কম হওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে মণে ১৫০-২০০ টাকা বেড়েছে। কাটারি ও জিরাশাইল ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা মণ দরে। এ দিন হাটে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মণের মতো বেচাকেনা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকা। উপজেলার বড়মহেষপুর গ্রামের কৃষক মানিক বলেন- ১ হাজার ৭০ টাকা মণ হিসেবে ১১ মণ বিক্রি করলাম। গত এক সপ্তাহ আগে এ ধান মণে ১০০ টাকা বেশি ছিল। হাটে নতুন ধানের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। শ্রমিকদের মজুরি, আলু ও সরিষার আবাদ করার জন্য ধান বিক্রি করতে বাধ্য হলাম। আর ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটে ধানের দাম কমবেশি হয়ে থাকে। লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক অতুল কবিরাজ বলেন, ৪৯ জাতের ১৬ মণ ধান ১ হাজার ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। দাম কম হওয়ায় কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর। এবছর আমনের আবাদ করতে বিঘাপ্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর ফলন হয়েছে ১৫-১৬ মণ। এছাড়া শ্রমিক খরচ, কীটনাশক ও সারের দাম বৃদ্ধি ধান উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। যদি ১ হাজার ৩০০ টাকা মণের নিচে ধান বিক্রি হয়, তাহলে কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে। ধান ব্যবসায়ি জামান হোসেন বলেন, হাটে নতুন ধানের সরবরাহ বেড়েছে। নতুন ধানে ময়েশ্চার কম ও মরা ধান রয়েছে। এ ধান থেকে চাল উৎপাদন করলে কিছুটা ঘাটতি হবে। একারণে ব্যবসায়িরা কিছুটা কম দামে ধান কিনছে। আবার কৃষকের গোলায় পুরোনো ধান এখন শেষ পর্যায়ে। এ কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।