ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ভালো ফলনে অনেকটাই খুশি প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকরা। তাদের দাবি সারসহ আনুষঙ্গিক কৃষি পণ্যের দাম কমানো হলে ধান-চালের ন্যায্য মূল্য পাবে কৃষক। এতে করে অনাবাদি জমিগুলো সোনালি ধানের আভায় ভরিয়ে তুলবে তারা। এদিকে কৃষি এবং খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকরা যেন ধান এবং চালের ন্যায্য মূল্য পায় সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সরকার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের কৃষক মো. মাসুদ মিয়া বলেন, এবার জমিতে ধান অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে সে দামের কাছে আমরা যে দামে সার কীটনাশক দিয়েছি তার সঙ্গে মিল নেই। চাল বিক্রির দাম অনেক কম হয়ে গেছে। এতে আমরা খুব একটা লাভবান হতে পারব না। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক ও কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে ব্রি-৭৫, ব্রি-৯০ বীনা-৭, বীনা-১৭, বিআর-২২ ও হাইব্রিড জাতীয় ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চোখ ধাঁধানো সোনালী ধানের আভায় ভরে উঠেছে কৃষকের প্রতিটি ধানের ফসলি মাঠ। উৎপাদন ভালো হওয়ায় খুশি প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা। তারা জানান, জমিতে সার, কীটনাশক, নিড়ানি, মই দেওয়াসহ সর্বশেষ ফসল কাটতে গিয়ে তাদের উৎপাদন খরচ অনেকটাই বেড়েছে। এর মধ্যে সার এবং কীটনাশকের দাম বৃদ্ধিতে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা নেমে এসেছে। কৃষকদের দাবি সার এবং কীটনাশকের দাম কমানো হলে ধানের উৎপাদন খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে। এতে ধান-চাল বিক্রি করে কিছুটা হলেও লাভবান হবেন তারা। এছাড়া অনাবাদি জমিগুলোতেও বাড়বে ধানের উৎপাদন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে ৫১ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত ২০১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এবার আবাদ হয়েছে ৫৩ হাজার ৫১০ হেক্টর। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা। যাতে উৎপাদন খরচ কমিয়ে লাভজনক ফসল করার জন্য আমরা কাজ করছি। তিনি আরও জানান, এ বছর রোপা আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬৫ কোটি টাকা। জেলা খাদ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকতা কাউছার সজীব জানান, চলতি আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে সরকার জেলায় ৭টি উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করবে। এই অ্যাপে আবেদন করতে পারবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। তারপর অনলাইনে লটারির পর কৃষকদের কাছে থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে ১হাজার ৯৯৪ মেট্রিক টন ধান এবং ৪৪ টাকা কেজি দরে ১৯ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে। এতে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান হবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত