প্রাণিসম্পদ অফিসের নির্ধারিত ব্যক্তিকে দিয়ে ছাগলের ঘর নির্মাণ

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওয়াতাধীন ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প’ (এলডিডিপি) কর্তৃক পরিচালিত দুইটি ছাগলের পিজি সদস্যদের মধ্যে ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে পৌর এলাকার পাইকপাড়া গ্রামের পিজি সদস্য প্রত্যেককে একটি করে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ। প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী সদস্যদের নিজ তত্ত্বাবধানে ঘর নির্মাণ করার কথা থাকলেও পাইকপাড়া পিজিতে তা করতে দেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম কর্তৃক নির্ধারিত ব্যক্তিকে দিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। আর প্রতিটি ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দের সম্পূর্ণ অর্থ প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা প্রত্যকের কাছে থেকে সম্পূর্ণ টাকা সংগ্রহ করে নেন। এতে করে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দের পুরো অর্থ ব্যয় না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২৫ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাগরের ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও বরাদ্দের ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে ব্যয় না করার সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদের পরিপেক্ষিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সরকারের উন্নয়ন কাজে বাধাগ্রস্ত করার কথা উল্লেখ করে প্রতিবাদ দেন। বাস্তবিক সংবাদ প্রকাশিত বিষয়ে অনিয়মের ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে প্রতিবাদ দেন। মূলত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম তার নিকটজনকে দিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ করিয়েছেন। সদস্যদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ টাকা নিয়ে তা পুরোটা ব্যয় দেখিয়ে যথাযতভাবে কাজ না করিয়ে অর্থ বাঁচিয়ে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে এভাবে করা হয়। আর এসব ব্যাপারে পিজির সদস্যদের কাউকে কিছু না বলতে ভয়ভীতিও প্রদর্শন করা হয় বলেও অনেকে অভিযোগ করেন। আগে বলিদাপাড়া ও খামারমুন্দিয়া গ্রামে ২টি মুরগির পিজির ঘর নির্মাণও এভাবে করেছিলেন। পাইকপাড়া ছাগলের পিজির সভানেত্রী মর্জিনা বেগম এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘর নির্মাণের বরাদ্দের সম্পূর্ণ টাকাই সব সদস্যরাই অফিসের লোকের হাতে তুলে দেয়। স্যারেরা মিস্ত্রী ঠিক করে দিয়েছিল।

ঘর নির্মাণে সব টাকা না লাগলেও তারা ব্যয় দেখাচ্ছে। এসব ব্যাপারে বুঝে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিছু বলতে গেলে আগামীতে আর কোনো সুযোগ-সুবিধা দেবে না বলে জানায়। গত দুইমাসে পিজির ট্রেনিং ও মিটিং না হলেও আমাদের দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে। সরকারি সুবিধা যতটুকু পায় তাই লাভ। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার ব্যানার্জী বলেন, এরইমধ্যে ছাগলের ঘর নির্মাণ নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমি ও আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলমান রয়েছে। প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।