ঝিনাইদহে সবজির উৎপাদন বেড়েছে

প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, হরিণাকুণ্ডু, চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ এলাকার কৃষক তাদের শীতকালীন সবজি উৎপাদন করে নিয়ে আসেন বাজারে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারের ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের দুই পাশজুড়ে বসে এই সবজির বাজার। সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার বসে এই হাট। হাটে আসা ফুলকপি, পাতাকপি, মুলা, বেগুন, লাউ, শিম, পালংশাক, লালশাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি, ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে যায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, রাজশাহী, জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। হরিণাকুণ্ডু থেকে আসা কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি এ বছর ১০ শতাংশ জমিতে লাউ ও ২০ শতাংশ জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। প্রথম থেকেই লাউয়ের বাজার ভালো পেয়েছেন। বেগুন প্রথমে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা পাইকারি বিক্রয় করলেও বর্তমানে দাম কম। তবে বর্তমানে চাষে কোনো লোকসান নেই। সবজি চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছেন তিনি। সরোজমিনে ডাকবাংলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভোর সকালে ঘন কুয়াশা ভেদ করে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শীতকালীন সবজি নিয়ে আসছেন বাজারে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুনসহ সব ধরনের সবজিই এসেছে। ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, খুলনার পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসছে এই বাজারে সবজি কিনতে। ব্যসায়ীরা কৃষকদের থেকে দর-দাম করে সবজি ক্রয় করছেন। যার মধ্যে ফুলকপি পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা মণ। বেগুন প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা মণ, লাউ প্রতি পিস ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। শিম প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ৪ থেকে ৫ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ৭০০ টাকা মণ। শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম ও লাউয়ের দাম তুলনামূলক বেশি।

সবজির বাজারকে ঘিরে ১৫০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বলে জানা গেছে। সবজি ব্যবসায়ী রনি জানান, তিনি ডাকবাংলা বাজারে প্রতিহাটে ১২ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকার সবজি কেনেন। ১২ থেকে ১৫ জন ব্যবসায়ী এই বাজার থেকে সবজি কেনেন। সেগুলো ঢাকা, রাজশাহী, জামালপুর জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠান। গত বছরের তুলনায় এবছর সবজির বাজার ভালো। বর্তমানে সবজি উৎপাদন বেশি, যার কারণে দাম কিছুটা কমেছে। সবজি ব্যবসায়ী রিপন আহমেদ বলেন, সরোজগঞ্জ, দশ-মাইল ও ডাকবাংলা বাজারে সবজির ব্যবসা করেন তিনি। অন্যান্য বাজারের তুলনায় ডাকবাংলা বাজারে সবজির আমদানি বেশি। কৃষেকরা মাঠ থেকে সবজিগুলো সরাসরি বাজারে নিয়ে আসে।