ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হুমকির মুখে হবিগঞ্জের ‘সাদা সোনা’

১০ বছরে ৫৫ কোটি টাকা লোকসান
হুমকির মুখে হবিগঞ্জের ‘সাদা সোনা’

সাদা সোনা খ্যাত সম্ভাবনাময় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার রাবার বাগানে দুর্দিন চলছে। গত ১০ বছরে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে।

রাবার বাগানে রাবারের উৎপাদন ও বাজারের দর কমে যাওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি লোকসান হয়েছে। বিদেশ থেকে ৫ শতাংশ শুল্কে কাঁচা রাবার আমদানি করায় দেশীয় রাবারের দাম কমে গেছে। এখন এক কেজি রাবার উৎপাদন খরচ হয় ৩৭৭ টাকা। প্রতিকেজি রাবারের বাজার দর ১৭৫ থেকে ১৯০ টাকা। শাহজিবাজার রাবার গাছের জীবন চক্র শেষ হয়ে গেছে প্রায় ১০ বছর আগে। এখন এসব গাছের বয়স বেড়ে যাওয়ায় রাবার গাছ থেকে কষ সংগ্রহ অনেক কমছে। অন্যদিকে বেড়েছে শ্রমিক কর্মচারীর বেতন ও যন্ত্রপাতির খরচ। রাবার বাগান অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮০ সালের দিকে বন বিভাগের জায়গায় বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন ২২ হাজার ১০৪ একর জায়গায় ২ লাখ ৫৮ হাজার রাবার গাছ রোপণ করা হয়।

একটি রাবার গাছে জীবন চক্র ২৫ বছর। এই হিসেবে শাহজিবাজার রাবার গাছের জীবন চক্র শেষ হয়ে গেছে। শাহজিবাজার রাবার বাগানের লুৎফুর রহমান নামে একজন শ্রমিক জানান, শাহজিবাজার রাবার বাগানের অবস্থা খুবই শোচনীয়। শ্রমিকরা কোনো রকমে কাজ করে বেঁচে আছে। একজন শ্রমিকের ৩০০টি গাছ থেকে কষ সংগ্রহের কথা। কিন্তু গাছের কষ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। বাগানের শ্রমিক সভাপতি আল আমিন বলেন, বিদেশ থেকে কাঁচা রাবার আমদানি কমিয়ে দিলে দেশীয় রাবারের দর বেড়ে যেত। শুল্ক কমিয়ে দেওয়ায় আমদানিকারকরা বিদেশ থেকে রাবার আমদানি করছে। দেশের রাবারের দর বেড়ে গেলে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যেত। এতে রাবার শিল্পের সুদিন ফিরে আসত। শাহজিবাজার রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক নন্দী গোপাল রায় বলেন, শাহজিবাজার রাবার বাগানের গাছের জীবন চক্র ১২/১৩ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া শ্রমিক কর্মচারিদের বেতন ভাতা বেড়েছে দ্বিগুন। এখন এক কেজি রাবারের উৎপাদন খরচ হয় ৩৭৭ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা করে। গত অর্থবছরে সাড়ে ৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। শাহজিবাজার রাবার বাগান নতুনভাবে সাজাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। রাবারের উৎপাদন ও ভালো দর পাওয়া গেলে শাহজিবাজার রাবার বাগান আবার ঘুরে দাঁড়াবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত