শেরপুরে কালোবাজারে নতুন বই বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শেরপুর প্রতিনিধি

বছরের শুরুতেই শিশুদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। অথচ সেই পাঠ্যবই শিশুদের হাতে পৌঁছার আগেই এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিদের কারণে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়া সাউথ করুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ১ ডিসেম্বর সকালে ভ্যানে ভরে নতুন বই বিক্রির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শিশুদের হাতে পৌঁছার আগে কালোবাজারে বই বিক্রির এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এর বিচার চেয়েছেন। তবে জেলা শিক্ষা অফিসার দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ভ্যানচালক স্কুলের নতুন বই ভ্যানের ভিতরে তুলছেন। এ সময় স্কুলের ভিতর থেকে জানালা দিয়ে আরেকজন লোক বই বের করে দিচ্ছেন। স্থানীয়রা উপস্থিত হয়ে তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা শিক্ষক সোলাইমানের নির্দেশে বই বিক্রির কথা বলেন। তখন স্থানীয়রা বইগুলোতে ২০২৩ সালের নতুন অনেক বই দেখতে পান। এই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সুলাইমান মাস্টার অর্থের বিনিময়ে অনেকের পোস্ট ডিলিট করান। সেই ভিডিওতেও ভ্যানচালক সোলায়মান মাস্টারের কথা রয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত মাস্টারের সঙ্গে আমি ফোনে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টা জানেন না বলে দাবি করেছেন। ঘটনাটি যেহেতু গত শুক্রবারের। এই ঘটনাটি নৈশপ্রহরী করে থাকতে পারে বলে তার দাবি। বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে দাবি করে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন বলেন, বই আমরা উৎসবের সঙ্গে শিশুদের হাতে তুলে দেই। শিশুদের এই বই বাইরে বিক্রি করা অন্যায়। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রহুল আমিন তালুকদার ঘটনাটি অবগত বলে জানান। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানার পরেই প্রধান শিক্ষককে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজুয়ান বলেন, নতুন বই তো দূরের কথা পুরাতন বইও বিক্রি করার সুযোগ নাই। বই বেশি হলে ফেরত দেয়ার বিধান রয়েছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. সুলাইমান ও নৈশপ্রহরী মো. দুলালের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তাদের মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।