ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড়

বাড়ছে শীত
পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড়

এরইমধ্যে প্রকৃতি জানান দিতে শুরু করেছে শীতের আগমনী বার্তার। সকালের আকাশ অনেকটাই ঘোলাটে থাকে। দেখা যায় কুয়াশা। শেষরাত অথবা খুব সকালের দিকে অনুভূত হচ্ছে অনেকটাই ঠান্ডা। মেহেরপুর জেলায় এভাবেই শীত পড়তে শুরু করেছে। শীতের শুরুতে খোলা বাজারের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের চাপ। খোলা আকাশের নিচের এসব অস্থায়ী দোকানগুলোতে বিশ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় দুই হাজার টাকা দরের কাপড় পাওয়া যায়। কম টাকায় সব বয়সের মানুষের কাপড় পাওয়া যায় বলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলো। গতকাল জেলার বেশ কয়েকটি খোলা বাজারের দোকান ঘুরে দেখা গেছে পুরানো কাপড়ের পাশাপাশি অল্প দামের নতুন কাপড়ও পাওয়া যাচ্ছে। তবে শীতকালীন পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতা সাধারণের চাপ বেশি। মেহেরপুর কোর্ট বাজারে অফিস খোলার দিনগুলোতে গাংনী বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিন এবং বামন্দি হাটে প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার বসছে পুরোনো কাপড়ের এই দোকানগুলো। এই দোকানগুলোতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। এলাকার নিম্ন ও মধ্য আয়ের বিভিন্ন বয়সের মানুষের শীত নিবারণের একমাত্র ভরসা পুরনো কাপড়ের দোকান। লিপি খাতুন নামে এক নারী ক্রেতা বলেন এই খোলা বাজারে কম টাকায় বাচ্চাদের সুন্দর সুন্দর গরম কাপড় পাওয়া যায়। বাচ্চার জন্য দুটা জামা কিনলাম। এই জামা কোনো গার্মেন্ট থেকে কিনতে গেলে তিনগুণ বেশি টাকা দিতে হতো। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে খোলা বাজার থেকে কেনা পোশাকগুলো পরিষ্কার করে ল-্রি করার পর পোশাকটি খোলা বাজার থেকে কেনা হয়েছে তা বোঝা যায় না। সেজন্য দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খোলা বাজারের গরম কাপড়ের দোকান। বামন্দি খোলা বাজারের পুরোনো ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ বলেন, প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বামন্দির হাটটি গরু, ছাগল ও বিভিন্ন ফসল কেনাবেচার জন্য বিখ্যাত। তবে বর্তমানে খোলা আকাশের নিচের কম দামের নতুন ও পুরনো কাপড়ের দোকান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পুরনো কাপড়ের ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, শীতের প্রকোপ কিছুটা হলেও কম তারপরেও প্রতি দিন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা বেচাকেনা হয়। এখানকার কাপড়ের দাম কম, তাই নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকে। অল্প বয়সি ছেলে-মেয়েদের পোশাকের চাহিদা বর্তমানে বেশি। তবে শীতের প্রকোপ বেশি হলে ক্রেতা সাধারণের উপস্থিতিও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন শাওন জানান, দীর্ঘদিনের পুরনো গাংনীর এই খোলা বাজারের দোকানে কম দামের নতুন ও পুরোনো জামা কাপড়ের জন্য নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের খুব উপকার হয়। এখানে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের কাপড় পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত