সড়কের মরা গাছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে ছোট-বড় প্রায় ৩ শতাধিক মরা গাছ সড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বৃষ্টি এবং প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে এসব গাছের শুকনো ডালপালা ভেঙে পড়ে আহত হচ্ছেন পথচারী এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন।

গোড়া পঁচে গিয়ে ভঙ্গুর হয়ে পড়ায় আস্ত গাছ ভেঙে পড়ে বড় রকমের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, এ সড়কে মরা গাছগুলো মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচলে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। হালকা বাতাস এলেই সড়কের ওপর ভেঙে পড়ছে আস্ত গাছ কিংবা শুকনো ডালপালা। এতে অনেক পথচারী ও যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। বাতাস আসলে মরা গাছগুলো বিভিন্ন দোকানপাটের ওপর পড়ে আহত হচ্ছে ব্যাবসায়ীরা। মরা গাছগুলো দ্রুত অপসারণ করা দরকার বলে মনে করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ছগুরা থেকে ভিংলাবাড়ি পর্যন্ত মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের দুইপাশে শিশু, মেহগনি, রেইনট্রিসহ অসংখ্য মরা গাছ ভাঙা ডালপালা নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কোনোটিতে ঘুণে ধরেছে, আবার কোনোটিতে কাঠপোকা বাসা বেঁধেছে। মরা কয়েকটি গাছ সড়কে হেলে পড়েছে। এতে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়কের পাশের দোকানি ও বাসিন্দারা। এ ছাড়াও ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় দেবিদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর এলাকায় এসব মরা গাছের নিচে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ফলে বেশ কিছু গাছের গোড়া পুড়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি বা বাতাস এলে সড়কেই ভেঙে পড়ছে মরা গাছ ও ডালপালা। এতে আহত হচ্ছেন পথচারী, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। মহাসড়কে নিয়মিত চলাচল করা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক কালাম বলেন, একবার প্রচণ্ড বাতাসে আমার অটোরিকশার ওপর মরা গাছের একটি ডাল ভেঙে পড়ে। সেসময় আমিসহ অটোরিকশার যাত্রীরা অল্পতে রক্ষা পাই। ঝড়-বৃষ্টির দিনে এ সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হলে একটা আতঙ্কে থাকি, কখন আবার গাছ বা ডাল ভেঙে পড়ে। দেবিদ্বার উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কটি শিগগিরই ফোর লেনে উন্নীত হবে। যার কারণে এ সড়কের মরা ও জীবিত ৩ হাজার ৪০০টি গাছ কেটে জায়গা প্রশস্ত করা হবে। আলাদাভাবে তাই মরা গাছ কেটে অপসারণের চিন্তা করছে না বন বিভাগ। কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির জানান, কুমিল্লা সিলেট সড়কের মৃত গাছগুলো কাটার প্রক্রিয়া চলছে। এগুলো নিলামের মাধ্যমে কর্তন করা হবে। অতি তাড়াতাড়ি রোডের দু’পাশে থেকে গাছগুলো কেটে ফেলা হবে।