ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুষ্টিয়ায় মেহেদির রং না শুকাতেই কলেজছাত্রীকে খুন

কুষ্টিয়ায় মেহেদির রং না শুকাতেই কলেজছাত্রীকে খুন

কুষ্টিয়ায় মেহেদীর রং না শুকাতেই বিয়ের ১৯ দিন পর রেখা খাতুন (১৮) নামে এক কলেজছাত্রী খুন হয়েছে। পুলিশ গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং ই-ব্লক থেকে কম্বলে মোড়ানো কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত রেখা খাতুন কুমারখালী উপজেলা নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাখই গ্রামের ঝাড়ু ব্যবসায়ী রহিম আলীর মেয়ে। রেখা কুমারখালী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯ দিন আগে পারিবারিকভাবে সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ এলাকার হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। হাফিজুল গোপালগঞ্জ জেলায় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন। নিহতের বাবা রহিম আলী জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো বুধবারেও সকাল ৯টার দিকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা হয়। কুমারখালী কলেজে যাওয়ার সময় আমার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে যায়। অন্যান্য দিন দুপুর ২টার মধ্যেই কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে আসলেও বুধবারে সে বাড়ি ফেরেনি। পরে কোথাও খোঁজ করে পাচ্ছিলাম না। এরপর সন্ধ্যার দিকে খবর পাই, আমার মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এসে দেখি আমার মেয়ের নিথর মরদেহ পড়ে আছে লাশ কাটার ঘরে। রহিম আলী আরো জানান, আমি গরিব মানুষ। ঝাড়ুর ব্যবসা করি। আমার কোনো ছেলে নেই। ৫ মেয়ের মধ্যে রেখা সবার ছোট। ১৯ দিন আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়েছে। আমাদের কোনো শত্রু নেই। কে বা কারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে তা জানি না। তবে আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ের ঠোঁটকাটা, শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, কম্বলে মোড়ানো কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত