মুরাদনগরে দীর্ঘসময়ের অবহেলা ও অযত্নে উন্নয়নের ছায়াহীন চুলরিয়া গ্রাম

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আজিজুল হক, মুরাদনগর(কুমিল্লা)

মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের একটি অবহেলিত গ্রাম হচ্ছে চুলরিয়া। গরু, ছাগল হাঁসমুরগি কবুতর লালন পালন সহ ৯০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মসজিদ, ১টি ঈদগাহ ও দুটি বাঁশের সাকো ছাড়া কিছুই নেই চুলরিয়া গ্রামে। পাশে রয়েছে আরচি নদী। সরজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, রাস্তায় বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে একহাঁটু কাঁদা জমে, তখন হেঁটে চলাচলও বিপদজনক হয়ে পড়ে। আশেপাশের সবগ্রামের রাস্তা পাকা হলেও চুলরিয়া গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতারা রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে পাকা করার উদ্যোগ নেয়া হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাতায়াতের একমাত্র পথ হওয়ায় বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের কষ্টের সীমা থাকে না। গ্রামবাসী দোকানদার শফিক মিয়া বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ গরু-ছাগল লালন-পালন সহ কৃষিকাজ করেই আমাদের জীবন চলে। বৃষ্টি হলে রাস্তায় চলতে পারি না। অনেক বছর ধরেই শুনে আসছি রাস্তাটি পাকা হবে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন খবর নেই। পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আবদুল কাদের ও পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন এলে মেম্বার থেকে শুরু করে এমপি পর্যন্ত সবাই অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। আমাদের সব সমস্যার সমাধান করবে রাস্তার জন্য কাজ করবে। কিন্তু ভোটের পর তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। ভোটের সময় এলেই তাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমরা ভেসে যাই। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপের কারণে দিনমজুরের খরচ পরে বেশি। অনেকে আছে সাধারণ কর্মঠ মানুষ তারা ভ্যান, রিক্সা চালিয়ে দিন আনে দিন খায়। তারা এই রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য কর্মে যেতে পারে না। গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যসহ যাবতীয় সবকিছু ভালো দরে বাজারজাত করতে পারছেন না। বৃদ্ধ, গর্ভবতী ও অসুস্থ রোগী যাতায়াতে পড়তে হয় অসহ্য বিড়ম্বনায়। শ্রীকাইল ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মাসুকুল ইসলাম মাসুক বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে অত্যন্ত অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে ইউনিয়নটি। আরচি নদীর পাড় ভাঙা থাকায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানি ঢুকে কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। শ্রীকাইল ইউপির চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার বলেন, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও মেরামতের জন্য উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে একধিকবার আলোচনা করেছি, কোনো লাভ হয়নি। কর্তৃপক্ষ এই ইউনিয়নের প্রতি সুনজর দেবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রায়হানুল চৌধুরী বলেন, ওই ইউনিয়নের পাকা সড়কটি সংস্কারের প্রক্রিয়া চলছে। আরও কিছু সড়ক পাকা করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।