সুন্দরবনে নির্বিচারে হরিণ শিকার

মাংস আটক হলেও ধরা পড়ছে না শিকারি

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সর্বত্রই চলছে হরিণ শিকার। হরিণের মাংস ধরা পড়লেও ধরা পড়ছে না শিকারি। জনমনে নানা প্রশ্ন।

সুন্দরবনে সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪ স্টেশনের আওতাধীন সবকাটি এলাকা দিয়ে প্রতি দিনই চলছে হরিণ শিকার। চিহ্নিত হরিণ শিকারিরা সন্ধ্যায় সুন্দরবনে প্রবেশ করে ফাঁসি দিয়ে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে নিয়ে আসছে। গাবুরা, ভেটখালী, মুন্সীগঞ্জ, হরিণগর, কৈখালী, টেংরাখালী, কলিঞ্চি, চাঁদনীমুখা, ছোট ভেটখালী এলাকাসহ উপকূলীয় গ্রামগুলোতে প্রতি সন্ধ্যায় শিকারকৃত হরিণের মাংস উঠছে। এলাকার চিহ্নিত হরিণ শিকারিরা ফাঁস দিয়ে শিকার করে শিকারকৃত হরিণ জবাই করে বা জিবীত হরিণ লোকালয়ে এনে জবাই করছে। রাতের আঁধারে সেই মাংস শ্যামনগর সদরসহ বিভিন্ন জেলায় পাচার করছে। কোনো কোনো সময় এলাকার সচেতন লোকজন আটক করে বন বিভাগকে খবর দিয়ে উদ্ধারও করেছে কিন্তু চোরা শিকারিদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকাবাসী বলছে বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় আটক করা হচ্ছে না শিকারিদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তি জানান, পর্যটকরা সুন্দর বনে যাওয়ার সময় মাছ ও হরিণ শিকারের জন্য সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছে এবং মাছ ও হরিণ শিকার করছে। গত বুধবার রাতে গাবুরার ৯নং সোরা থেকেও ৬০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার হলে কোনো শিকারি আটক হয়নি। এভাবে হরিণ শিকারে মাংস আটক হলেও আটক হচ্ছে না শিকারি। শিকারি আটক না হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে কথা হয় সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হাসান চেীধুরীর সঙ্গে তিনি বলেন, এতবড় সুন্দরবন সে হিসাবে আমাদের লোকবল কম আমারা চেষ্টা করছি হরিণ শিকার বন্ধের জন্য। প্রায় ধরা পড়ছে শিকারকৃত মাংস ও শিকারি তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা ও হচ্ছে। শিকারিদের ধরার জন্য পুরস্কার ও ঘোষণা করাও হয়েছে। এ ব্যাপারে কথা হয় কোবাদক বন অফিস কর্মকর্তা মোবারক হোসেনের সঙ্গে তিনি বলেন, আমার এলাকা দিয়ে হরিণ শিকার হচ্ছে না।