ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আজ রায়পুরা হানাদার মুক্ত দিবস

আজ রায়পুরা হানাদার মুক্ত দিবস

আজ ১০ ডিসেম্বর। নরসিংদীর রায়পুরা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম ব্রিগেডিয়ার নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৩নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা এই দিনে হানাদার পাকিস্তানিদের কবল থেকে রায়পুরাকে মুক্ত করেন। নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। ৭ এপ্রিল রায়পুরায় সংগঠিত হয়েছিল সর্বদলীয় প্রশিক্ষণ। ১৩ এপ্রিল বেলাবোর বড়িবাড়ী এলাকায় পাক সেনাদের বিরুদ্ধে আট ঘণ্টাব্যাপী মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। ১৪ এপ্রিল রায়পুরা থানা আক্রমণ হয়। এতে অংশ নিয়েছিলেন- রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আফজাল হোসাইন, তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রয়াত জালালউদ্দিন আহমেদ ও সেক্রেটারি হারুনূর রশীদ। খবর পেয়ে ১৮ মে পাকবাহিনী রায়পুরায় প্রবেশ করে। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম ও স্থবির হয়ে পড়ে যাবতীয় চিন্তা-ভাবনা। ১৮ অক্টোবর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ের মির্জানগর ইউনিয়নের বাঙ্গালীনগরে অবস্থিত ৫৫ নং রেল সেতুতে দুই ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধ হয়।

এতে ছয়জন পাকসেনা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়। এছাড়া ৩৩ জন পাকসেনা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এ আক্রমণে নেতৃত্ব দেন- লতিফ কমান্ডার, কমান্ডার জয়ধর আলী, কাজী হারুন, প্রয়াত ইদ্রিস হালদার প্রমুখ। ৭ নভেম্বর পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ রণাঙ্গনে প্রচণ্ড যুদ্ধ করে শহীদ হন চট্টগ্রাম রাউজানের সুবেদার বশর, রায়পুরা মরজাল গ্রামের সার্জেন্ট আ. বারি, খাকচক গ্রামের এয়ারফোর্সের নুরুল হক, রাজনগর গ্রামের বেঙ্গল রেজিমেন্টের সোহরাব। এছাড়া, কাজী হারুন-অর-রশিদ, রাজনগর গ্রামের সুবেদার ইপিআর জয়দর আলী ভূঁইয়া ও ইদ্রিস হাওলাদারের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। অবশেষে ১০ ডিসেম্বর মুক্ত হয় রায়পুরা। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম জানান, এই দিনকে ঘিরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিনটিতে সকল শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত