ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিএমডিএ’র প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ

বিএমডিএ’র প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ

বরেন্দ্র এলাকায় উচ্চমূল্যের ফল, মসলা, বেভারেজ, ঔষধি ও মাঠ ফসলের উৎপাদন কৌশল এবং ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ১ দিনের ১ম শ্রেণির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে ও বরেন্দ্র এলাকায় উচ্চমূল্য অপ্রচলিত ফল ও ঔষধি ফসল চাষাবাদ জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের আয়োজনে একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব আখতার জাহান। এ সময় তিনি বলেন, আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থাপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানায়ক। আরো স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে। এ ছাড়া ৩০ লাখ বীর শহীদ যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন মানচিত্র পেয়েছি, প্রত্যেকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তিনি আরো বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উন্নয়নের কান্ডারী, আধুনিক বাংলাদেশের সফল নির্মাতা, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আজ বাংলাদেশ এত বাধা পেরিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথাতুলে দাঁড়িয়ে আছে। তার কারণে বরেন্দ্র এলাকার এত পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। তিনি সব সময় বলেন আমাদের দেশীয় ফল এর বাইরেও যে বিদেশি ফল গাছ আছে, সেই গাছগুলো রোপণ করতে হবে। যেন দেশীয় ফলের পাশাপাশি মানুুষ কম দামে যেন বিদেশি ফলও খেতে পারে। সেই জন্য আমরা বরেন্দ্র এলাকায় বিভিন্ন উচ্চমূল্যের ফল, বেভারেজ, ঔষধি ও মাঠ ফসলের উৎপাদন প্রকল্প গ্রহণ করেছি এবং তা মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়ন ও হচ্ছে। উচ্চমূল্য ফলজ ও ঔষধি গাছগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে হবে এবং এই গাছগুলোকে তারা যেন সঠিকভাবে পরিচর্যা করে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই উচ্চমূল্য ফলজ ও ঔষধি গাছগুলো আমারা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে এবং সঠিকভাবে বড় করতে পারলে আমাদের দেশের সন্তানরা তা খেতে পারবে। আমাদের বরেন্দ্র এলাকার মাটি অনেক সুন্দর এবং এই মাটিতে যে গাছ রোপণ করি না কেন-এর ফল সব সময় সুস্বাধু হয়। তাই আপনারা যারা আজ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাদের একটা কাজ সব সময় মনে রাখতে হবে এটি আমাদের দেশের সম্পদের সঠিক ব্যবহার, সঠিকভাবে করতে হবে এবং বরেন্দ্র অঞ্চলে এই গাছগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিঃপ্রধান প্রকৌশলী (চঃদাঃ) মো: শামসুল হোদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: সমসের আলী, উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার ডিএই চাঁপাইনবাবগঞ্জ, উপ-পরিচালক ড. বিমল কুমার প্রামানিক হটিকালচার সেন্টর ডিএই, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, প্রকল্প পরিচালক সেলিম কবীর এইচভিসি প্রকল্প, বিএমডিএ, মোছা: আনোয়ারা খাতুন সহকারী প্রকৌশলী বিএমডিএ। রাজশাহী জেলার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়সহ ১৪টি জোন ও রিজিওন অফিসের মোট ৩০ জন ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত