ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জামালপুর মুক্ত দিবস পালিত

জামালপুর মুক্ত দিবস পালিত

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি জামালপুর দুর্গের পতনের মধ্য দিয়ে ১১নং সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সূচনা করেছিল বিজয়ের পথ। একাত্তরে যুদ্ধের শুরুতেই বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাড়াও আশপাশের বেশক’টি জেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকায় কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বাধীন ১১নং সেক্টরের হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয়। বিপরীতে জামালপুর জেলা সদরের পিটিআই ও ধানুয়া কামালপুরে হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাটি স্থাপন করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে এই ১১নং সেক্টরের অনেক যুদ্ধই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছে। যুদ্ধকালীন সময়ে হানাদার বাহিনীর অসংখ্য নৃশংতার চিহ্ন আর বধ্যভূমি ছড়িয়ে আছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। জেলা সদরের পিটিআই হেড কোয়াটার, বর্তমান ওয়াপদা রেস্ট হাউস, আশেক মাহমুদ কলেজের ডিগ্রি হোস্টেল টর্চার সেল, ব্রহ্মপুত্রের তীরে শ্মশান ঘাট বধ্যভূমি এবং ফৌতি গোরস্থানসহ এসব বধ্যভূমিতে ধরে এনে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী বাঙালিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সরিষাবাড়ীর বারই পটল এলাকায় একদিনেই হত্যা করা হয় শতাধিক মুক্তিকামী বাঙালিকে। অবশেষে প্রাণপণ যুদ্ধের পর ১০ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় জামালপুর। জামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই সূচিত হয় শেরপুর, ময়মনসিংহসহ ঢাকা বিজয়ের পথ। তবে এখনো এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর অরক্ষিত। জামালপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল বকুলতলা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জামালপর ৫ সদর আসনের আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জামালপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে জেলার সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলায় গিয়ে শেষ হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত