ভূরুঙ্গামারীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে ভূরুঙ্গামারীতে ঘনকুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডার জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের শিশু ও বৃদ্ধরা। তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল, চরাঞ্চল ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যত দিন যাচ্ছে, এ জনপদে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ছে। সন্ধার পর থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ঘনকুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে এখানকার পথঘাট। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগ বেড়েছে শিশু ও বৃদ্ধদের। শিক্ষার্থীদের সুয়েটার, জেকেটসহ মোটা কাপড় পড়ে স্কুল-কলেজে যেতে দেখা গেছে। ঘনকুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। গোটা জনজীবনকে করেছে বিপর্যস্ত। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে উঠানামা করছে। গতকাল সকাল পৌনে এগারটায় কথা হয় রিকশা চালক তাহের আলী জানান, সকাল ৮টায় রিকশা নিয়ে বেড়িয়েছি। প্রায় ৩ ঘণ্টায় আয় করেছি ৫০ টাকা। শীতের কারণে বাইরে লোকজন কম। উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের রায়হান আলী বলেন, কয়েকদিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে যে শীত পড়ছে রাস্তা দেখায় যায় না। এরকম ঠান্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর সমস্যা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, শীতবস্ত্র হিসেবে উপজেলায় ৪ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু নির্বাচনের সিডিউল হওয়ায় এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় তা বিতরণ করা যাচ্ছে না। কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গতকাল সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে।