শীতে কাবু পঞ্চগড়

কুয়াশা-ঠান্ডায় নামছে তাপমাত্রার পারদ

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসকে দোয়লে, পঞ্চগড়

ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের দাপট। গত দুদিন থেকে তাপমাত্রা ক্রমাগত নিচের দিকে নামায় বেড়েছে শীতের দাপট। এ দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষ। গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে আবহাওয়ার এ তথ্যটি জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। সকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ঘনকুয়াশায় ঢাকা উপজেলার প্রকৃতি। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। প্রয়োজনের বাইরে অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে শীত উপেক্ষা করে সকালে চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্নআয়ের মানুষদের জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে দেখা গেছে। এদিকে বেলা ১১টার দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও সে রোদে থাকছে না তাপের উষ্ণতা।

বিকাল গড়ালেই শুরু হয় ঠান্ডা বাতাস। কমে যায় তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর শহরে হাটবাজারগুলোও জনশূন্য হয়ে পড়ে কুয়াশা ঝরার কারণে। অনেকে টায়ার-কাগজে আগুন লাগিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়। গ্রামের নারীরা জানান, গত দুদিন থেকেই ঠান্ডা বেশি মনে হচ্ছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। ঘরের টিনের চালে বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরা শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র পর্যন্ত বরফ হয়ে উঠে। সকালে গৃহস্থালী করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। চা শ্রমিক আরশেদ আলী, মোস্তফা ও সাইফুলসহ কয়েকজন জানান, ভোরে প্রচন্ড হিমশীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে কাজ করছি। কুয়াশা আর হিমেল শিশিরের কারণে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকরা। কয়েকজন ভ্যানচালক বলেন, এ মৌসুমে মনে হচ্ছে আজকেই বেশি কুয়াশা আর ঠান্ডা। শীতের কারণে সহজে ভ্যানে চড়তে চান না অনেকেই।

সকালে বেড়িয়েছি, কিন্তু কোনো ভাড়া মারতে পারিনি। এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎকরা চিকিৎসরা পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা কমে বেশ ঠান্ডা পড়েছে।

গতকাল সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরো কমে আসবে বলে তিনি জানান।