সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামল ১১.৮ ডিগ্রিতে

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

তাপমাত্রা নামল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে। মৌসুমে পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। এ তাপমাত্রায় কনকনে শীতে হাড় কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী মানুষদের। গতকাল সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত সোমবার রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে আবহাওয়ার এ তথ্যটি জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গতকাল ভোরে গত দুদিনের থেকে কম কুয়াশা থাকলেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে হাড়কাঁপানো শীত। সকাল ৮টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও কনকনে শীতে নাজেহাল এ জেলার মানুষ। প্রয়োজনের বাইরে অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে শীত উপেক্ষা করে সকালে চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্নআয়ের মানুষদের জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে দেখা গেছে।

বিকেল গড়লেই হিমেল বাতাসে বেড়ে যায় শীতের মাত্রা। সন্ধ্যার পর শহরে হাটবাজারগুলোও জনশূন্য হয়ে পড়ে কুয়াশা ঝরার কারণে। অনেকে টায়ার-কাগজে আগুন লাগিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়। এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎকরা চিকিৎসরা পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত সোমবার একই সময়ে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।