ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দ্রুত গতিতে চলছে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ

দ্রুত গতিতে চলছে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ

পটুয়াখালীর দুমকিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন’ এর নির্মাণকাজ। জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে বেশ কয়েক দফা পিছিয়ে অবশেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় স্থান নির্ধারণ করে তার উপরে নির্মিত হচ্ছে দুমকি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্থায়ী ঠিকানা ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন’। বর্তমানে দুমকিতে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ১৩৪ জন। এর মধ্যে ৫৪ জন জীবিত আছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর মৌজার জনতা কলেজের উত্তর দিকে এলজিইডি রাস্তার পূর্ব পাশে ২৭ শতাংশ খাস জমির সাড়ে ৯ শতাংশের উপর ৩ কোটি ৫০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৪ তলাবিশিষ্ট ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন’। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় দুমকি উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মোঃ ইউনুচ অ্যান্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ৫ নভেম্বর কার্যাদেশ পাওয়ার পর কাজ শুরু করে। ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল কাজ শেষ হ?ওয়ার কথা রয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভবনের তৃতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ছয়টি করে মোট বারোটি দোকানের জন্য নির্ধারিত স্টলের কাজ শেষ পর্যায়ে। তৃতীয় তলায় আধুনিক মানের কমিউনিটি সেন্টার এবং চতুর্থ তলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অফিস কক্ষ ও সভাকক্ষ নির্মাণ করা হবে। চতুর্থ তলা পর্যন্ত সিড়ি কাজ ও চলমান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোঃ আবুল বাশার বলেন, আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বলেন, চার তলাবিশিষ্ট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুমকি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি আরো বলেন, আমি নিয়মিত ভবন নির্মাণ কাজের খোঁজখবর নিচ্ছি এবং কাজের মান খুব ভালো। জানতে চাইলে দুমকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশীদ হাওলাদার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থান নির্ধারণের অভাবে দুমকি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুমকি উপজেলা পরিষদের সন্নিকটে স্থান নির্ধারণ করা হয় এবং উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন তিনি কাজ করছেন। কাজ শুরু করার সময় নকশায় কিছু ত্রুটি দেখা দিলে প্রকল্প পরিচালকের সাথে ঢাকায় যোগাযোগ করে তা সংশোধন করে দিয়েছি। প্রকৌশলীগন ডিজাইন অনুসারে কাজের গুনগত মান বজায় রেখে কাজ করছেন। দুমকি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাদ জগলুল ফারুক বলেন, আমি রিতিমতো কাজের মনিটরিং করছি, কাজের গুণগত মান ভালো হচ্ছে। এরইমধ্যে ভবনের ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত