সকালে ঝলমলে রোদ

হাড় কাঁপাচ্ছে কনকনে শীত

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

রোদ ঝলমলে সকাল হলেও হাড় কাঁপছে কনকনে শীতে। গতকাল সকাল ৯টায় দেশের উত্তরের হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে ঘন কুয়াশা না থাকলেও কনকনে শীতের প্রকোপে জর্জরিত প্রান্তিক এ জেলার মানুষ। সকাল ৭টা থেকেই দেখা গেছে সূর্য।

কিন্তু রোদ ঝলমলে হলেও কনকনে শীতে নাজেহাল এ জেলার মানুষ। কিন্তু শীত উপেক্ষা করে সকালে চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষজনকে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে দেখা গেছে। কয়েকজন গ্রামীণ নারী জানান, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা। রাতে বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরা শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে উঠে। সকালে গৃহস্থালি করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা জানান, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিম শীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকরা। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, গত মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরো কমে আসবে বলে তিনি জানান।