দুপুরের আগে দেখা মেলে না সূর্যের

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নীলফামারী প্রতিনিধি

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত। গত তিনদিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য সূর্যের দেখা মিলেছে। প্রতিদিনই সূর্যের দেখা মেলে দুপুরের পর। কিছু সময়ের জন্য দেখা দিলেও রোদে নেই প্রখরতা। গত সপ্তাহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যা নামলেই পুরো জনপদ কুয়াশায় ঢেকে যায়। ১০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না ঘনকুয়াশায়। এতে করে দিনের বেলায়ও চলতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে লাইট জ্বালিয়ে। সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডা কাজে বের হতে না পেরে অনেকে বাড়িতেই থাকছেন। নদী এলাকায় এ কুয়াশা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শীত নিবারণে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষরা শীতবস্ত্র রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ভ্যানচালক মজিবর বলেন, কুয়াশায় গাড়ি নিয়ে বের হলেও ভাড়া হয় না। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। গরিব মাইনষের শীত অনেক কষ্টের। জেলা সদরে লক্ষ্মীচাপ এলাকার ললিত চন্দ্র রায় বলেন, ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। তবু সবজি তুলে বাজারে বিক্রি করতে হবে। না হলে সংসার চলবে কি করে। নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান জানান, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বেশি শিশু ভর্তি হচ্ছেন। এদিকে জানা যায়, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র হিসেবে জেলার ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভায় ২৫ হাজার কম্বল পাঠিয়েছে। এখনও প্রায় পাঁচ হাজার মজুত আছে। সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানিয়েছে, গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই-এক দিনে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যাবে।