সোনাগাজীতে স্কুলের নির্বাচন দ্বন্দ্বে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি

ফেনীর সোনাগাজীতে আমিরাবাদ ভবানীচরণ (বিসি) লাহা স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ঘরে ঢুকে জহিরুল হক খান স্বপন নামে এক দাতা সদস্যকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। নবাবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মহিম উদ্দিন মহিম ও তার সহযোগী নূর ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে ১০-১৫ জন দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মধ্যম সুলসতানপুর স্বপন খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত দাতা সদস্য জহিরুল হক খান স্বপন হংকং প্রবাসী ব্যবসায়ী। পুলিশ, এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, ২৫ নভেম্বর ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ ডিসেম্বর কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ১১ সদস্য বিশিষ্ট গভর্নিং বডির কমিটি অনুমোদন দেন। ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে কলেজে নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা এবং বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এক সদস্য নবাবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের নাম বিদ্যুৎসাহী সদস্য হিসেবে নাম প্রস্তাব করেন। সভায় উপস্থিত কোনো সদস্য তার পক্ষে ভোট দেননি। দাতা সদস্য জহিরুল হক খান স্বপন সোনালী ব্যাংকের জিএম ওই এলাকার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন মাহমুদের নাম প্রস্তাব করলে একজন ছাড়া বাকি ৯ জন সদস্য গিয়াস উদ্দিন মাহমুদকে ভোট দিয়ে বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচিত করেন। একজন সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম লিটন মায়ের অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান পুত্র মহিম উদ্দিন মহিম তার পিতাকে বাদ দিয়ে অন্যজনের নাম প্রস্তাব করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সকালে দাতা সদস্য স্বপনকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেন। দুপুরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। দুপুর ১২টার দিকে বসতঘরে ঢুকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করেন। এ সময় তার বসতঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কয়েকটি জানালার গ্লাসের কাঁচ ভাঙচুর করে। আহত স্বপন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমিরাবাদ বিসি লাহা স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মহিউদ্দিন মাহমুদ কামরান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে এটি তীব্র নিন্দনীয়। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সেলিম বাদশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।