কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের দাপটে ব্যাহত হয়ে পড়ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
তীব্র ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, অতি দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। ঠান্ডার কারণে সময় মতো কাজে যেতে না পারায় আয় রোজগার কমে যাচ্ছে তাদের। ফলে স্বাভাবিক জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন না এসব মানুষ। গত এক সপ্তাহ ধরে দিনের অধিকাংশ সময় মেঘে ঢাকা থাকছে সূর্য। এ ক’দিনে কুড়িগ্রাম অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার দরিদ্র মানুষরা।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য ইতোমধ্যেই ৪৫ হাজার কম্বল সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। তবে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নটি নদীবেষ্টিত। প্রচন্ড শীত ও কুয়াশায় এখানকার মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে।
এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে শীতবস্ত্র পাইনি। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৩-৪ দিন পরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে।
