ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবৈধ যানবাহনে সয়লাব কেশবপুর

অবৈধ যানবাহনে সয়লাব কেশবপুর

যশোরের কেশবপুরে অবৈধ ইঞ্জিনচালিত মোটরভ্যান ও ইজিবাইকের শহরে পরিণত হয়েছে। এ উপজেলায় প্রায় ৫ হাজারের বেশি ইঞ্জিনচালিত এসব যানবাহন থাকলেও পৌর সভার লাইসেন্স আছে মাত্র ১ হাজার ৫০০টির। এছাড়া আইন মানছে না চালকরা। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে নানা দুর্ঘটনা। প্রশাসন ও পৌরসভার মেয়রের দৃষ্টি কামনা করেছেন কেশবপুরের সচেতন মহল। কেশবপুর পৌরসভার অফিস সূত্রে জানা গেছে, দৃষ্টিনন্দন ছোট শহর কেশবপুর পৌরসভা। এই শহরে অবৈধ ইঞ্জিনচালিত মোটরভ্যান ও ইজিবাইকে ভরে গেছে। হারিয়ে যাচ্ছে পৌর শহরের সৌন্দর্য। উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত মোটর ভ্যান রয়েছে ৪ হাজার ৩৬০টি এবং ইজিবাইকের সংখ্যা হলো প্রায় সাড়ে ৪০০। এসব অবৈধ ইঞ্জিনচালিত মোটরভ্যান ও ইজিবাইকের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বৈধতা দিতে কেশবপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য উপজেলাব্যাপী বারবার মাইকিং করে ঘোষণা দেওয়ার পরেও লাইসেন্স সংগ্রহের তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত ইঞ্জিনচালিত মোটরভ্যানের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে লাইসেন্স সংগ্রহ করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩১৭টি ও ইজিবাইকের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে লাইসেন্স সংগ্রহ করা হয়েছে ৩১৩টি। গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অবৈধ ইঞ্জিনচালিত মোটরভ্যান ও ইজিবাইকের অধিকাংশ চালক হচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক শিশু। এ কারণে তাদের বেপরোয়া চলাচলের কারণে শহরে অধিকাংশ সময়ে যানজট লেগে থাকায় পথচারী ও যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটে থাকে। তাছাড়া এসব অবৈধ ইঞ্জিনচালিত মোটরভ্যান ও ইজিবাইকগুলো শহরের ভেতরে ও মেইন সড়কের দুই পাশে পার্কিং করার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রায় এক ডজন সংখ্যক ট্রাফিক মোতায়েন করা হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। উপজেলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, কেশবপুর শহরে ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে অবৈধ ইঞ্জিনচালিত মোটরভ্যান ও ইজিবাইক। সেইসঙ্গে শিশু শ্রমিকের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। এরা মানছে না কোনো আইন। আর এই ইঞ্জিনচালিত মোটরভ্যান ও ইজিবাইকের চালক অধিকাংশ শিশু হওয়ায় তাদের অদক্ষতার কারণে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। শহরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘনঘন যানজট। সেইসঙ্গে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, কেশবপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল বলেন, অবৈধ ইঞ্জিনচালিত মোটরভ্যান ও ইজিবাইকের চালকদের ভেতরে সচেতনতার অভাব রয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বৈধ লাইসেন্স করে নেওয়ার জন্য একাধিকবার উপজেলাব্যাপী মাইকিং করা হলেও তাতে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে আগামী ২০২৪ সালে এ সংক্রান্তে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত