লেপ-তোশক তৈরির ধুম

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

শীতের আগমন এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা। বছরের অন্যান্য সময় তারা অলস সময় কাটালেও বাংলা আশ্বিন মাস থেকে দোকানের তালা খুলে বসেন মহাজনরা। লেপ-তোশকের কাপড়, তুলা ও সেলাই মেশিনসহ সরঞ্জামাদী সাজিয়ে বসেন লেপ-তোশক তৈরি করতে। এবার আদমদীঘি উপজেলার কার্তিক মাস থেকে পুরোদমে লেপ-তোশকের দোকানে ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরিতে। স্থানীয় সূত্রে জানায় যায়, আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, চাঁপাপুর, নসরতপুর, মুরইল, কুন্দগ্রাম, কড়ইসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক লেপ-তোশকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে মহাজন, কারিগরসহ প্রায় সহস্রাধিক শ্রমিক এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। আদমদীঘি সদরের লালচান বেডিং স্টোরের মালিক মহাজন রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ১২ বছর যাবত লেপ-তোশক তৈরির কাজ করেন তিনি। আগে এনালগ পদ্ধতিতে লেপ-তোশক তৈরি করা হতো। এখন উন্নতমানের জুকি মেশিনে কাজ করা হয়। এতে সময় কম লাগে। বড় মাপের লেপ, কাপড়, তুলা, সুতাসহ তৈরি খরচ বাবদ গ্রাহকদের কাছে থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। গদির দাম নেয়া হয় ৪ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। লেপ-তোশক তৈরি কারিগর মাসুদ আলী সাগর ও আশরাফুল জানায়, প্রকার ভেদে মজুরি একটি লেপ-তোশক তৈরি বাবদ ৪৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এখন সব জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোশক তৈরি মজুরি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলা অবস্থিত তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানে কারিগরা লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এবারও ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরিতে। আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এ পেশার কারিগররা ব্যস্ত থাকলেও অবশিষ্ট মাসে কারিগররা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন। বর্তমানে খদ্দেরের সংখ্যাও কম নেই দোকানগুলোতে। খদ্দের বীর মুক্তিযোদ্ধা তহির উদ্দিন জানায়, সে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বড় মাপের একটি লেপ তৈরি করে নিয়েছেন।