বাঁশের সাঁকোই ৯ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো: মুখছেদুল হক দুলাল (ফুলপুর, ময়মনসিংহ)

ফুলপুর উপজেলার ১নং ছনধরা ইউনিয়নের মালিঝি নদীর শাখা পূর্ব লাউয়ারী ও পশ্চিম লাউয়ারী গাবতলি বাজার সংলগ্ন এলাকার ৯ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। সাঁকোর মাঝে দিয়ে বয়ে গেছে, কংশ নদীর শাখা মালিঝি নদী। এর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ৯ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এলাকাবাসী জানান, প্রায় ২০ হাজার মানুষের পারাপারে একমাত্র ভরসা একটি সাঁকো। প্রায় ২৫ বছর ধরে এলাকাবাসী এবং স্থানীয় সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বতর্মান ফুলপুর উপজেলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব ও জেলা পরিষদের সদস্য মো: মাহবুবুর রহমান জনপ্রতিনিধি মিলে সাঁকোর বাঁশ পচে নষ্ট হলে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করেন তারা। প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে ছনধরা ইউনিয়নের পূর্ব লাউয়ারী, পশ্চিম লাউয়ারী, নয়াপাড়া, মুনা খালি, খাড়ইপাড়, কুলির কান্দা, বাঘের কান্দা, হরিনাদী, সিংহেশ্চর, বাটপাড়া বনপাড়া, ইউনিয়নের গাবতলি বাজার এলাকাসহ ৯টি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এছাড়া পার হন স্কুল- মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, কিষান-কিষানি ও ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ১০০-১৩০ ফুট দীর্ঘ সাঁকোতে চলাচলের সময় কাঁপতে থাকে। আবার অনেক স্থানে বাঁশ-খুঁটি পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ভগ্নপ্রায় সাঁকো দিয়ে কষ্টে ও সাবধানতা অবলম্বন করে পারাপার হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে কৃষিপণ্য নিয়ে কৃষক সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না। মাঠের ফসল নিয়ে যাতায়াত করতে না পারায় তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সাঁকোটির অনেক স্থানে বাঁশ পঁচে যাওয়ায় স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদেরসহ অনেকে পথচারীর আহত হয়েছেন।

সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সাঁকো পার হওয়া সময় পূর্ব লাউয়ারী সাবেক মেম্বার হারেজ আলী জানায়, বাঁশের সাঁকোটি নড়বড়ে হওয়ার কারণে সাঁকোর উপর দিয়ে একা চলাচল করতে পারি না। গত কয়েক দিন আগে হাটপাগলা গ্রামের নয়ন নামে এক যুবক সাঁকো থেকে পড়ে যায়। পশ্চিম লাউয়ারীর গ্রামের রাসেল বলেন, খালের ওপর আমাদের সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। বার বার তাগিদ দেওয়ার পর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ছনধরা ইউনিয়নের নয়াপাড়া, মুনা খালি, ধনার ভিটা এলাকার কয়েকজন বলেন, সাঁকোর এপারে স্কুল, মাদ্রাসা ও গাবতলী বাজার থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন আমাদের যেতে হয়। ছনধরা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য হারেজ আলী বলেন, এই স্থানে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দ্রুত সেতু নির্মাণের জন্য দাবি জানাচ্ছি। ১নং ছনধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, এলাকাবাসীর দাবি ও জনগণের দুর্ভোগ কমানোর জন্য বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে ব্রিজ নির্মাণ করা। ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাজ্জাদুল হাসান জানান, এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, খুব দ্রুত ব্যবস্থা হবে।