ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঠাকুরগাঁওয়ে খুরা রোগের প্রকোপ বেড়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে খুরা রোগের প্রকোপ বেড়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপকহারে দেখা দিয়েছে গরুর ক্ষুরা রোগের প্রকোপ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারিরা। ভ্যাকসিন সংকট আর প্রাণিসম্পদের ভ্যাটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ ফি দিতে গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এতে প্রাণিসম্পদের দিক থেকে মুখ ফিরে নিচ্ছেন অনেকে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগীয়া, ঘোষপাড়া, জগন্নাথপুর, নারগুন, বেগুনবাড়িসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে গরুর খুরা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কেঁপে কেঁপে জ্বর আসছে, মুখ দিয়ে লালা পড়ছে, হুট করে পড়ে মারা যাচ্ছে। মারা যাওয়া গরুর সংখ্যাও কম নয়। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগীয়া ঘোষপাড়া গ্রামের পারবর্তী ঘোষ বলেন, আমার তিনটা গরু ছিল। গাভীর দুধ বিক্রি করে সংসার চালাই, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাই। তিনটি গরুর দাম ছিল প্রায় ৩ লাখ টাকা কিন্তু গরু মারা যাওয়ায় আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। একই গ্রামের অনিতা রানী কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার আয় রোজগারের একমাত্র উপায় ছিল ৩টি গাভী, কিন্তু গাভীগুলো মারা যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। কীভাবে চলব উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। একই গ্রামের প্রমিলা ঘোষ বলেন, কেঁপে কেঁপে জ্বর আসছে, মুখ দিয়ে লালা পড়ছে, হুট করে পড়ে মারা যাচ্ছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে ১৫টি গরু মারা গেছে। আমাদের বাড়িতে ৭টি গরু ছিল, কমদামে বিক্রি করে দিতে হয়েছে। সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের কৃষক কুশুদেব বর্মণ বলেন, এলাকায় প্রাণী সম্পদের লোকজনের কোনো দেখা পাওয়া যায় না। প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গেলে সেখানেও পাওয়া যায় না। আগে থেকেই ভ্যাকসিন সরবরাহ করলে এই অবস্থা তৈরি হতো না। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেমন্ত কুমার রায় ভ্যাকসিন সংকটের কথা জানিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ক্যাম্পেইন, উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি শুনেছি, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত