পশু হাটের মরা গাছ আতঙ্কে ক্রেতা-বিক্রেতা

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

দক্ষিণ অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর যশোরের কেশবপুরে পৌরসভায় পশু হাটে বড় বড় মরা গাছের কারণে আতঙ্কে রয়েছে হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতা। যে কোনো সময় মরা গাছ ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে এ হাটে গরু-ছাগল বেচাকেনা চলছে। মরা গাছ অপসারণ না করায় হাটে পশু বিক্রি করতে আসা বেপারীদের ভেতরে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। কেশবপুর পৌরসভায় পশুর হাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের মাইকেল গেটের পাশে আনুমানিক আট বিঘা জমির উপরে পশু হাটটি অবস্থিত। সপ্তাহের সোমবার ও বুধবারে এখানে হাট বসে। দক্ষিণাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর এ হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু-ছাগল বেচাকেনা করার জন্য হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন।

হাটের ভেতরে থাকা বড় বড় অন্তত ২০টি শিশু গাছ (রেন্ট্রি) দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পশু হাটে ঝুঁকিপূর্ণ একাধিক মরা শিশু (রেন্ট্রি) গাছ। এ সময় কেশবপুর পশু হাটে গরু বিক্রয় করতে আসা উপজেলার দোরমুটিয়া গ্রামের ছাত্তার মোড়ল বলেন, সম্প্রতি মরা গাছের একটা ডাল ভেঙে হাটের ভেতরে থাকা তারের উপর পড়লে মানুষ দিগি¦দিক ছোটাছুটি করে। ডাল ভেঙে পড়ার এই আতঙ্ক নিয়ে আমরা হাটে গরু-ছাগল বেচাকেনা করে আসছি। গাছ না মারা (কাটা) পর্যন্ত আমরা শান্তি পাচ্ছি না। গরুর ব্যাপারী উপজেলার লক্ষ্মীনাথকাটি গ্রামের বাবুল আক্তার বলেন, একটু বাতাস হলেই মরা গাছের ছোট ছোট ডালপালা ভেঙে পড়ে। ভয়ে অনেকেই এ হাটে এখন গরু ছাগল বিক্রি করতে আসেন না। যারা গরু-ছাগল নিয়ে আসেন তারাও মরা গাছের কারণে পশু নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। গরু কিনতে আসা পাশের মনিরামপুর উপজেলার ত্রিপুরাপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, কখন ডাল ভেঙে পড়ে, কখন কি হবে, এই ধরনের আতঙ্ক নিয়ে আমাদের হাটের ভেতর দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।

একই উপজেলার বিল্লাল হোসেন বলেন, গত বুধবার একবার হাটের পাশঘরের ছাদের ওপর নামাজ পড়ার সময় ডাল ভেঙে পড়েছে। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। এ গাছগুলো কেটে ফেলা একান্ত প্রয়োজন। কেশবপুর পৌরসভা পশুর হাট মালিক ইকবাল হোসেন তুতা বলেন, হাটে থাকা অনুমান ২০টি মরা শিশু (রেন্ট্রি) গাছ অপসারণের জন্য পৌর মেয়রসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। মরা গাছের কারণে ঝুঁকি নিয়েই হাটে পশু বেচাকেনা চলছে। অতি দ্রুত গাছগুলো অপসারণের জোর দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা বন কর্মকর্তা হাবিবুজ্জামান বলেন, পশু হাটের মরা গাছ সম্পর্কে আমাদের কোনো তথ্য নেই। কর্তৃপক্ষ যদি গাছ বিক্রি করতে চান, তাহলে বন বিভাগ দামদর নির্ধারণ করে দিতে পারে।

গাছ অপসারণে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। এ ব্যাপারে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল বলেন, পশু হাটের মরা গাছ অপসারণের বিষয়ে জেলা সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত এলেই গাছ অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।