নীলফামারীতে বাড়ছে শীতের দাপট

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে গত শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এতে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত চলছে শীতের দাপট। কুয়াশায় ছেয়ে গেছে গ্রামের রাস্তাঘাট। তিস্তা নদী পরিবেষ্টিত নীলফামারী জেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখরি বাড়ি, টেপাখরী বাড়ী, গয়াবাড়ী, শৌলমাড়ীর নদীর পাড়ে রাতে কনকনে ঠান্ডা, কুয়াশা সকাল অবধি। এদিকে শীতের আগমনের সাথে সাথে কষ্টে দিন কাটছে চরাঞ্চলের মানুষের। শীত বস্ত্রের অভাবে অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, আগুনের কুণ্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অসহায় পরিবারগুলো। শীতের গরম কাপড়ের অভাবে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র জনগোষ্ঠী। আর বেশি বিপাকে পড়েছেন সহায় সম্বলহীন পরিবারগুলো। তারা পুরনো গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভীর করছেন। তিস্তা পাড়ের পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের বদিউজ্জামান জানান, রাত ৭টার পরে তিস্তা এলাকায় কনকনে ঠান্ডা পড়ে। জেলা সদরের পলাশবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিরেন শর্মা এবং সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরল হক শাহ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, সকাল সকাল জমিনের কৃষিকাজে মেহনতী মানুষের যাওয়া কষ্টকর হচ্ছে। কৃষি শ্রমিক মানিক বলেন, শীতের কারণে কাজ কমে গেছে, আর যেটুকু মিলছে তাতে মজুরি কম, তাই শীতবস্ত্র কেনার টাকাও নেই, পরিবারের শিশু সন্তান নিয়ে বিপাকে আছি। শীতের কারণে আগের তুলনায় শহরে লোকজন কমেছে, ফলে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে জেলার তিস্তা নদীর পরিবেষ্টিত ডিমলা জলঢাকা উপজেলার ব্যবসা বাণিজ্যে। নীলফামারী শাকামাছা হাট বড়বাজার এলাকার কাপড় ব্যাবসায়ী আবু হোসেন বলেন, লোকসমাগম কমে যাওয়ার কারণে বেচা বিক্রি কমেছে। নীলফামারী চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের সভাপতি প্রকৌশলী এসএম সফিকুল আলম ডাবলু আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এমনিতেই ফিলিস্তিন ইসরাইলের যুদ্ধের কারণে এবং রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ চলমান থাকায় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ তার উপরে শীত জেঁকে না বসতেই শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। নীলফামারী পৌর মেয়র কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, সরকারিভাবে গরম কাপড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি হতদরিদ্রদের শীত নিবারণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও এবং সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।